রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের রেকর্ড: সাকিব-তামিমদের ছাড়িয়ে শীর্ষে

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের ক্রিকেটের চার কিংবদন্তি—সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচজয়ী দলের সদস্য হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

মাত্র এক দশকের ক্যারিয়ারে মোস্তাফিজ বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয়ের হিসেবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি তার ক্যারিয়ারের ৫৩তম জয়ের স্বাদ পান। এই ম্যাচে তিনি বোলিংয়ে দুর্দান্ত কিপটেমি দেখিয়েছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। বাংলাদেশ এই ম্যাচে ৩৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়।

৫৩টি জয় নিয়ে মোস্তাফিজ সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে গেছেন। সাকিব ১২৯ ম্যাচে ৫২টি জয় পেলেও ৭৫টি ম্যাচে হেরেছেন। অন্যদিকে, মোস্তাফিজ ১১২ ম্যাচে ৫৭টি হারের মুখ দেখেছেন। লিটন দাস (১০৮ ম্যাচ) ও মাহমুদউল্লাহ (১৪১ ম্যাচ) দুজনেরই জয় ৪৯টি করে। মুশফিকুর রহিম ৩৭ জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন, আর তামিম ইকবাল ৭৪ ম্যাচে ২৩টি জয় পেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড ভারতের রোহিত শর্মার। তিনি ১৫৯ ম্যাচে ১০৯টি জয় পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের (৮৬টি)। এছাড়া বিরাট কোহলি (৮২), হার্দিক পান্ডিয়া (৮১) ও মোহাম্মদ নবী (৮০) রয়েছেন শীর্ষ তালিকায়।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বাধিক জয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছেন কাইরন পোলার্ড। ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর এই ক্রিকেটার ৭১৩ ম্যাচে ৩৮৭টি জয় পেয়েছেন। তিনশর বেশি জয় রয়েছে শোয়েব মালিক, ডোয়াইন ব্রাভো ও সুনিল নারিনের। বাংলাদেশিদের মধ্যে এই তালিকায় শীর্ষে সাকিব, যিনি ৪৫৮ ম্যাচে ২৩৫টি জয় পেয়েছেন। ১৫৮ জয় নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।

মোস্তাফিজের এই কৃতিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি গৌরবময় মুহূর্ত। তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অনন্য স্থান এনে দিয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.