ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করেছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করলেও, সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি যেন ফিরে পেয়েছেন তার হারানো ছন্দ। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করে তিনি ফ্যালকনসকে ২০ ওভারে ২০৪ রানের বিশাল স্কোর গড়তে সাহায্য করেন। এই ম্যাচে সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিং কিংসের বোলিং লাইনআপকে তছনছ করে দেয়।
চলতি সিপিএলে শুরু থেকেই ফ্যালকনস ম্যানেজমেন্ট সাকিবের ওপর ভরসা রেখেছে। প্রতি ম্যাচে তাকে চার বা পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব, তখন দলের স্কোর ছিল ৫১/২। মাঠে নামার পর থেকেই তিনি ঝড় তুলতে শুরু করেন, ফ্যালকনসের মোমেন্টাম বদলে দিয়ে।
স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের আগেই সাকিব হাঁকান জোড়া ছক্কা। এরপর ডেভিড ভিসার এক ওভারে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মাধ্যমে তিনি তুলে নেন ২৪ রান। এই ওভারেই কিংসের বোলিং পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মাত্র ২০ বলে সাকিব পৌঁছে যান সিপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও চলতি আসরের প্রথম ফিফটিতে। ফিফটির পরও তিনি থামেননি। আলজারি জোসেফের বলে লং অফে ছক্কা হাঁকান তিনি, এবং ফিফটির পরের ৬ বলে তুলে নেন আরও ১১ রান। ২৬ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি আউট হন, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে ততক্ষণে ফ্যালকনসের রানের গতি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
সাকিবের পাশাপাশি আমির জাঙ্গু ৪৩ বলে ৫৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ইনিংসের শেষ দিকে ফাবিয়ান অ্যালেনের ১৭ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস ফ্যালকনসকে ২০০ রানের মাইলফলক পার করিয়ে দেয়।
কিংসের বোলিংয়ে একমাত্র তাবরেইজ শামসি কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিনি তিনটি উইকেট শিকার করেন। তবে অন্য বোলাররা ছিলেন অকার্যকর, প্রতি ওভারে গড়ে ১০-এর বেশি রান দিয়েছেন তারা।
সাকিবের এই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স ফ্যালকনসকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে, এবং ভক্তরা এখন অপেক্ষায় আছেন তার এই ফর্ম অব্যাহত থাকবে কিনা দেখার জন্য।