ম্যাচের আগে অ্যানফিল্ডে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল, ‘রুতে, দিনিস, দুয়ার্তে, মাফালদা – অ্যানফিল্ড সবসময় তোমাদের ঘর থাকবে। ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন।’ সমর্থকেরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং ‘ডিজে২০’ ও ‘এএস৩০’ লেখা মোজাইক প্রদর্শন করেন, যা জোটা ও তার ভাইয়ের নামের প্রথম অক্ষর এবং তাদের জার্সি নম্বরের প্রতীক। পর্তুগালের পতাকাও ছিল এই মোজাইকে। ম্যাচের ২০তম মিনিটে সমর্থকেরা জোটার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিটের করতালি দেন।
ম্যাচে আবেগের পাশাপাশি ছিল রোমাঞ্চ। লিভারপুলের হয়ে প্রথম গোল করেন হুগো একিতিকে, এরপর কোডি গাকপো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বোর্নমাউথও লড়াই চালিয়ে যায়। ডেভিড ব্রুকসের পাস থেকে আন্তোয়ান সেমেনিও প্রথম গোল করেন এবং পরে দুর্দান্ত দৌড়ে দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তবে, ম্যাচের মাঝে বিতর্কও সৃষ্টি হয়। সেমেনিও রেফারিকে জানান, একজন দর্শক তাকে বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন। বিরতির সময় পুলিশ সেই সমর্থককে মাঠ থেকে বের করে দেয়।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটকীয়তা ছিল চরমে। ৮৯তম মিনিটে ফেদেরিকো কিয়েসা গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। যোগ করা সময়ে মোহামেদ সালাহ গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। গোলের পর সালাহ জোটার বিখ্যাত উদযাপন ভঙ্গি নকল করেন। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের জোটার নামে স্লোগানে সালাহ কেঁদে ফেলেন, যা পুরো অ্যানফিল্ডকে আবেগে ভাসায়।
লিভারপুলের এই জয় শুধু তিন পয়েন্টই নয়, জোটার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতীক। ক্লাবটি জোটার ২০ নম্বর জার্সি স্থায়ীভাবে অবসর করেছে এবং অ্যানফিল্ডে তার স্মরণে একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করবে।