শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় বিচারের দাবি, সম্ভাব্য ১৫ বছরের কারাদণ্ড

 ফ্রান্সের নঁতের কৌঁসুলি অফিস গতকাল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ফুটবলার আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ধর্ষণের অভিযোগে ফৌজদারি আদালতে বিচারের দাবি জানিয়েছে। ২৬ বছর বয়সী এই মরক্কোর রাইটব্যাক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তকারী বিচারককে এই মামলা ফৌজদারি আদালতে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এখন তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর নির্ভর করছে তিনি নিজের আদেশ কাঠামোর মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাকিমি এক ২৪ বছর বয়সী নারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে তাঁর বাসায় আসার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া দেন, যখন তাঁর স্ত্রী ও সন্তান ছুটিতে ছিলেন। ওই নারী পুলিশকে জানান, তিনি জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁর অভিযোগ, হাকিমি সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ করেন এবং ধর্ষণ করেন। তিনি এক বন্ধুকে খুদে বার্তার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য ডাকেন, যিনি এসে তাঁকে নিয়ে যান। যদিও ওই নারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেননি, কৌঁসুলিরা তদন্ত শুরু করেন এবং ২০২৩ সালের মার্চে হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কোলিন এএফপিকে বলেন, “কৌঁসুলিদের এই সিদ্ধান্ত মামলার প্রমাণের আলোকে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন।” তিনি দাবি করেন, হাকিমি “পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার” এবং অভিযোগকারীর মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নে অসঙ্গতি রয়েছে। কোলিন জানান, “আমরা শান্ত আছি এবং আপিলের সব পথ খুঁজব।” অপরদিকে, অভিযোগকারীর আইনজীবী র‌্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো বলেন, “এই মামলায় কোনো অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছেন।”

হাকিমি ২০২২ সালের বিশ্বকাপে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা কোনো আরব দেশের জন্য প্রথম। গত মে মাসে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে তিনি প্রথম গোল করেন। মাদ্রিদের হেতাফেতে জন্ম নেওয়া হাকিমি রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলে বেড়ে ওঠেন, ২০১৮ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে এবং ২০২০ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দেন। ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠেন।

২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠার পরও হাকিমি পিএসজির হয়ে খেলা চালিয়ে যান এবং ক্লাব তাঁকে সমর্থন করে। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ হাকিমির সমর্থনে “ষড়যন্ত্রের” অভিযোগ তুলেছেন, আবার কেউ বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তদন্তকারী বিচারকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর এখন নির্ভর করছে মামলাটি বিচারে যাবে কিনা, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.