নতুন মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দ ধরে রেখেছে আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিডস ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয়ে শতভাগ সাফল্য অক্ষুণ্ণ রেখেছে মিকেল আরতেতার দল। তবে জয়ের উল্লাসের মাঝে ছায়া ফেলেছে উদ্বেগ—দুই গুরুত্বপূর্ণ তারকা বুকায়ো সাকা ও অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড ম্যাচের মাঝপথে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে কষ্টার্জিত জয়ের পর এটি ছিল এই মৌসুমে আর্সেনালের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ। খেলার আগে দর্শকদের সামনে নতুন সাইনিং এবেরেচি এজেকে পরিচয় করানো হয়। তবে ম্যাচের শুরুতে আর্সেনাল কিছুটা অগোছালো ছিল।
৩৪তম মিনিটে কর্নার থেকে ইয়ুরিয়েন টিম্বারের হেডে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু চার মিনিট পরই বিপদ। অ্যান্টন স্টাখের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান মার্টিন ওডেগার্ড। দুইবার চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালানোর চেষ্টা করলেও তৃতীয়বার মেডিকেল টিম তাকে মাঠ থেকে তুলে নেয়। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ১৫ বছর বয়সী কিশোর মিডফিল্ডার ইথান নোয়ানেরি।
ওডেগার্ডের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব নেন বুকায়ো সাকা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে তিনি দারুণ এক গোল করেন। টিম্বারের পাস ধরে ডান দিক থেকে কাট ইন করে শটে বল জালের টপ কর্নারে পাঠান তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সাকাও চোটে পড়েন, যা আর্সেনালের জন্য আরেকটি ধাক্কা।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল তাদের গতি আরও বাড়ায়। ৪৮তম মিনিটে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়েন সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর ইয়োকেরেস। বাঁ দিক থেকে কেটে ঢুকে দুর্দান্ত শটে তিনি করেন দলের তৃতীয় গোল। ৫৬তম মিনিটে আবারও কর্নার থেকে হেডে গোল করেন টিম্বার, পূর্ণ করেন নিজের জোড়া গোল।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে ইয়োকেরেস দলের পঞ্চম গোলটি নিশ্চিত করেন। ১৫ বছর বয়সী ম্যাক্স ডাউম্যানকে ফাউল করায় লিডসের স্টাখের বিরুদ্ধে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
৫-০ গোলের এই জয় আর্সেনালকে লিগ টেবিলের শীর্ষে তুলেছে। তবে আগামী ম্যাচে অ্যানফিল্ডে শক্তিশালী লিভারপুলের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সাকা ও ওডেগার্ডের চোট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও এই জয় গুনারদের মনোবল বাড়িয়েছে।