বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টেস্ট ক্রিকেটের আর্থিক টেকসইতা নিয়ে সতর্কবার্তা

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ টেস্ট ক্রিকেটের আর্থিক টেকসইতা নিয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব দলকে জোর করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করলে ছোট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রিনবার্গ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে স্বল্পতাই আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়। আমার মনে হয় না প্রতিটি দলকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতে হবে, এটাই হয়তো স্বাভাবিক। আমরা যদি সবাইকে জোর করে টেস্ট খেলাই, তাহলে তাদের আর্থিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেব।’

এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন আইসিসি দুই স্তরের টেস্ট ব্যবস্থা চালুর মতো কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে ভাবছে, যাতে ম্যাচগুলো প্রতিযোগিতামূলক ও আর্থিকভাবে টেকসই হয়।

গ্রিনবার্গের মতে, অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী সিরিজ এবং ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় তিন দলের দ্বন্দ্বে বেশি বিনিয়োগই টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার পথ। আগামী ২০২৫-২৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ শুরুর আর মাত্র ১০০ দিন বাকি, যা এখনও আর্থিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক ও জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা।

তিনি সাম্প্রতিক ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজের প্রতিযোগিতার মানের প্রশংসা করলেও কিছু একপেশে ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করেন। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কম ব্যবধানে জেতা ম্যাচেও ব্যবধান ছিল ১৩৩ রান; আবার নিউজিল্যান্ড জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৫৯ রানে ইনিংস জয় পেয়েছে। এ ধরনের ম্যাচ প্রতিযোগিতার মান ও দর্শক আগ্রহ কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে যেসব বাজারে ক্রিকেট অন্য বিনোদনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।

গ্রিনবার্গ বলেন, ‘যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের অর্থ ও মর্যাদা আছে, সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে। অ্যাশেজ এত বড় ও লাভজনক হওয়ার কারণ এটাই—এতে গুরুত্ব আছে।’


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.