ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠ ছাড়ার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সী নেইমার। ভাস্কোর কোচ ফার্নান্দো দিনিজ ছুটে এসে তাকে সান্ত্বনা দেন। ম্যাচ শেষে ভাঙা গলায় নেইমার বলেন, “এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।” এর আগে তিনি কখনোই ছয় গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়েননি।
ম্যাচে ভাস্কো দা গামা রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। ফিলিপে কৌতিনিয়ো জোড়া গোল করেন, বাকি গোলগুলো আসে লুকাস পিতোঁ, রায়ান, ডেভিড ও তচে তচের পা থেকে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে টানা পাঁচ গোল হজম করে সান্তোস একেবারে ভেঙে পড়ে।
এই হার সান্তোসের ব্রাজিলিয়ান লিগ ইতিহাসে নিজেদের মাঠে সবচেয়ে বড় লজ্জা। ৯৮ বছরে ভাস্কো কখনোই তাদের এত বড় ব্যবধানে হারাতে পারেনি। গ্যালারির ৫৩ হাজার দর্শকের বড় অংশ ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে যান, অনেকে দাঁড়িয়েই দলের প্রতি পিঠ ফিরিয়ে দেন।
এই বিপর্যয়ের পর তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয় সান্তোস কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচ ক্লেবার জেভিয়ারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
পয়েন্ট তালিকায় এই জয়ে ভাস্কো ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে উঠে এসেছে, আপাতত অবনমন অঞ্চলের বাইরে। অন্যদিকে, ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে থাকা সান্তোস এখন অবনমনের হুমকির মুখে, যদিও তাদের হাতে একটি ম্যাচ বেশি রয়েছে।
ইনজুরি কাটিয়ে টানা ছয় ম্যাচে পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলেছেন নেইমার। তবু মাঠে তিনি ছিলেন ম্লান, যেখানে বিপরীতে কৌতিনিয়ো দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন। এমন সময়ে যখন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দল গঠনে ব্যস্ত, নেইমারের এই পারফরম্যান্স প্রশ্ন তুলছে—আসন্ন দলে তিনি কতটা অপরিহার্য?
মরুম্বির এই রাত শুধু সান্তোসের জন্যই নয়, নেইমারের ক্যারিয়ারের জন্যও নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।