প্রায় তিন দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফাবিও খেলেছেন ইউনিয়াও বান্দেইরান্তে (৩০ ম্যাচ), ভাস্কো দা গামা (১৫০ ম্যাচ), ক্রুজেইরো (৯৭৬ ম্যাচ) এবং ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৪ ম্যাচ। ম্যাচ শেষে আবেগঘন কণ্ঠে ফাবিও বলেন, “ঈশ্বর আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। বাবা-মা, পরিবার, বন্ধু, স্ত্রী—সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। তবে মাঠে আমার প্রথম দায়িত্ব সতীর্থদের সাহায্য করা। ঈশ্বর ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না।”
ফাবিওর এই দীর্ঘ যাত্রা শুধু সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তার অর্জনের তালিকাও সমৃদ্ধ। ক্রুজেইরোর হয়ে তিনি দুইবার ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দুইবার কোপা দো ব্রাজিল জিতেছেন। ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেওয়ার পর তিনি জিতেছেন কোপা লিবার্তাদোরেস এবং রেকোপা সুদামেরিকানা ট্রফি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস-পরিসংখ্যান সংস্থা (আইএফএফএইচএইচ) পিটার শিল্টনের ম্যাচ সংখ্যা ১,৩৯০ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যদিও শিল্টন নিজে ১,৩৮৭ ম্যাচের দাবি করেন। এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও শিল্টন আগেই জানিয়েছিলেন, ফাবিও যদি তার রেকর্ড ভাঙেন, তিনি সবার আগে অভিনন্দন জানাবেন।
শীর্ষ পাঁচ ফুটবলার (সর্বাধিক ম্যাচ খেলা):
ফাবিও / পিটার শিল্টন – ১,৩৯০
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো – ১,২৮৩
রজেরিও সেনি – ১,২৬৫
ফ্রান্তিসেক প্লানিচকা – ১,১৮৭
আগামী মঙ্গলবার কোপা সুদামেরিকানার শেষ ষোলোতে আমেরিকা দে কালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্লুমিনেন্স। সেই ম্যাচে ফাবিও পিটার শিল্টনকে ছাড়িয়ে ফুটবল ইতিহাসে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হিসেবে এককভাবে নিজের নাম লিপিবদ্ধ করবেন।
৪৪ বছর বয়সেও নিয়মিত প্রথম একাদশে খেলে ফাবিও প্রমাণ করছেন যে ফুটবলে বয়স কোনো বাধা নয়, মানসিক দৃঢ়তাই সবচেয়ে বড় শক্তি।