টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছিল। হাসান নওয়াজের ২৩ বলে ৪০ ও অধিনায়ক সালমান আগার ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে এই রান পায় দলটি। তবে শেষ ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি না পাওয়ায় মাত্র ২৩ রান যোগ করতে পারে তারা, এবং ৮ ব্যাটসম্যানের রান ছিল এক অঙ্কে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জেসন হোল্ডার ৪ উইকেট নিয়ে (১৯ রানে) দলের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন এবং এদিন টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৮১ উইকেট) হিসেবে রেকর্ড গড়েন।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা ভালো করলেও মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানের স্পিনারদের দাপটে বিপর্যয়ে পড়ে। মোহাম্মদ নওয়াজ (১৪ রানে ৩ উইকেট), সুফিয়ান মুকিম ও সাইম আইয়ুবের ১২ ওভারে মাত্র ৫৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬.২ থেকে ১৪.৫ ওভার পর্যন্ত তারা কোনো বাউন্ডারিও পায়নি। তবে শেষ তিন ওভারে জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচের রং বদলে যায়। ১৮তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে হোল্ডারের এক ছক্কা ও শেফার্ডের এক চারে ১২ রান আসে। এরপর হাসান আলীর ১৯তম ওভার থেকে ১৬ রান তুলে সমীকরণ শেষ ওভারে ৮ রানে নামিয়ে আনে।
শেষ ওভারে আফ্রিদি প্রথম ৫ বলে মাত্র ৪ রান দেন এবং শেফার্ডকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। তবে শেষ বলে ওয়াইড দিলে সমীকরণ ৩ রানে নেমে আসে। এই কঠিন মুহূর্তে আফ্রিদির মিডল স্টাম্পের বলকে হোল্ডার ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ও ফাইন লেগের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান, ফলে টানা ৬ টি-টোয়েন্টি হারের পর জয়ের মুখ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ বলেন, “আমাদের ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল, তবে হোল্ডার ও শেফার্ড শেষ দিকে দুর্দান্ত কাজ করেছে।” পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা বলেন, “আমরা শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ভুল করেছি এবং বোলিংয়েও শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। তবে সিরিজ জয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।”
এই জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আশা জিইয়ে রাখল, যেখানে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে ১৪ রানে জিতে ১-০ তে এগিয়েছিল। সিরিজের ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল এখন দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।