দলের এই বিশাল স্কোর গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। তিনি ১৬৪ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, যা এই সিরিজে তাঁর দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা আকাশ দীপ ৯৪ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। রবিন্দ্র জাদেজা ৭৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন, যা এই সিরিজে তাঁর পঞ্চম ফিফটি। ওয়াশিংটন সুন্দর মাত্র ৪৬ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যা ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চাপ বাড়ায়। দ্রুব জুরেল ৪৬ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান যোগ করেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে জশ টাঙ্গু ৫ উইকেট (৫/১২৫) নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন, এবং গাস অ্যাটকিনসন ৩ উইকেট (৩/১২৭) শিকার করেন। তবে ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংয়ে ছয়টি ক্যাচ ড্রপ করা এবং ক্রিস ওকসের কাঁধের ইনজুরির কারণে তাদের বোলিং আক্রমণে ধাক্কা লাগে।
প্রথম ইনিংসে ভারত ২২৪ রানে অলআউট হলেও ইংল্যান্ড ২৪৭ রানে থামে, মাত্র ২৩ রানের লিড নিয়ে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে জয়সওয়াল ও আকাশ দীপের ১০৭ রানের জুটি দলকে মজবুত ভিত গড়ে দেয়। জাদেজা ও সুন্দরের দ্রুতগতির রান তুলে টার্গেটকে ৩৭৪-এ পৌঁছে দেয়, যা ওভালে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এখন পর্যন্ত কোনো দল অর্জন করতে পারেনি।
তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড ১৩.৫ ওভারে ৫০/১ স্কোর করে, জ্যাক ক্রলি (১৪) মোহাম্মদ সিরাজের ইনসুইং ইয়র্কারে আউট হন। বেন ডাকেট (৩৪*) এখনও ক্রিজে আছেন। ইংল্যান্ডের সামনে এখন ৩২৪ রানের চ্যালেঞ্জ, আর ভারতের প্রয়োজন ৮ উইকেট। ওভালে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬৩ রানের রেকর্ড ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডই গড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সিরিজ ২-২ সমতায় ফিরিয়ে আনতে ভারতের এই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তবে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ব্যাটিং ইতিহাস বদলে দিতে পারে কিনা, তা দেখার বিষয়।