শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

টটেনহামের দাপটে বার্নলি পরাজিত, প্রিমিয়ার লিগে ঐতিহাসিক ‘আট সেকেন্ড নিয়ম’ প্রয়োগ

 ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে দুর্দান্ত শুরু করেছে টটেনহাম হটস্পার। গতকাল (১৬ আগস্ট) উত্তর লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে বার্নলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। রিচার্লিসনের জোড়া গোল এবং ব্রেনান জনসনের একটি গোলে টমাস ফ্রাঙ্কের দল দাপুটে জয় নিশ্চিত করে। এই ম্যাচ দিয়েই টটেনহামের প্রধান কোচ হিসেবে লিগে অভিষেক হয় টমাস ফ্রাঙ্কের।

তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কার্যকর হয়েছে ‘আট সেকেন্ড নিয়ম’। এই নিয়মের প্রথম সুবিধাভোগী দল হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে টটেনহাম।

ম্যাচ শুরুর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটে এই ঘটনা। বার্নলির গোলকিপার মার্তিন দুব্রাউকা নিজেদের বক্সে আসা একটি ক্রস ধরে আট সেকেন্ডের বেশি সময় বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তিনি বল বাউন্স করিয়ে সময়ক্ষেপণ করছিলেন এবং লম্বা কিক নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই রেফারি মাইকেল অলিভার বাঁশি বাজিয়ে টটেনহামকে কর্নার কিক উপহার দেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো গোলকিপার যদি আট সেকেন্ডের বেশি বল নিজের কাছে রাখেন, তবে প্রতিপক্ষ দলকে কর্নার কিক দেওয়া হবে।

রেফারির এই সিদ্ধান্তে টটেনহামের কোচ ফ্রাঙ্ক করতালি দিয়ে সাধুবাদ জানান। তবে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, অনেকেই এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এমনকি দুব্রাউকাও এই নিয়ম সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন না বলে মনে হয়। যদিও টটেনহাম এই কর্নার থেকে গোল করতে পারেনি।

আইএফএবি গোলকিপারদের সময়ক্ষেপণ রোধে এই নিয়ম প্রবর্তন করে। গত মার্চে নিয়মটি অনুমোদন পায় এবং ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে এটি কার্যকর হয়। দুব্রাউকা ১৪ সেকেন্ড বল ধরে রাখায় রেফারি অলিভার প্রথমবারের মতো এই নিয়ম প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামের প্রায় ৬২ হাজার দর্শক একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মৌসুমের শুরুতে আরও অনেক গোলকিপার এই নিয়মের জালে পড়তে পারেন। এই ঘটনা ফুটবলপ্রেমীদের মনে দীর্ঘদিন রয়ে যাবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.