শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

সিপিএলে সাকিবের ব্যর্থতা অব্যাহত, তবু কারিমার দাপটে অ্যান্টিগার জয়

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) টানা দুই ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম ম্যাচে সেন্ট কিটসের বিপক্ষে ১৬ বলে ১১ রান ও ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই চিত্র। বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ব্যাটে ১৩ বলে ১৩ রান করলেও বোলিংয়ে ১ ওভারে ১৪ রান দিয়েছেন। তবে সাকিবের ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাঁর দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস অ্যান্টিগায় বার্বাডোজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বার্বাডোজ ২০ ওভারে ১৫১/৬ রান তুলেছিল। কুইন্টন ডি ককের ৫৭ ও রোভমান পাওয়েলের ৫৪* রানে ভর করে তারা এই রানে পৌঁছায়। জবাবে অ্যান্টিগা ১৯.৪ ওভারে ১৫২/৪ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। কারিমা গোরের ৫৩ বলে ৬৪* ও ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের ৬ বলে ১১ রানের ইনিংসে শেষ ২ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মিলিয়ে দেয় অ্যান্টিগা।

সাকিব এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে নেমে সুযোগ পেয়েছিলেন বড় ইনিংস খেলার। ৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৫৭ রানের সময় ব্যাটিংয়ে আসেন তিনি। তবে মুজিব উর রেহমানের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেন। বোলিংয়ে তিনি সপ্তম বোলার হিসেবে ১৫তম ওভারে এসে রোভমান পাওয়েল ও কুইন্টন ডি ককের কাছে একটি করে চার ও ছক্কা হজম করেন। দলের অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম তাকে টানা দুই ম্যাচেই মাত্র এক ওভার বোলিংয়ে ব্যবহার করেছেন।

একসময় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নতুন বলে নিয়মিত বোলিং করা ৩৮ বছর বয়সী সাকিবের সেই দিন এখন আর নেই। তবে তাঁর দলের জয়ে উজ্জ্বল ছিলেন কারিমা গোর, যিনি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

সাকিবের পরবর্তী ম্যাচ আগামীকাল (১৮ আগস্ট) সেন্ট লুসিয়ার বিপক্ষে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

  • বার্বাডোজ রয়্যালস: ১৫১/৬ (২০ ওভার; ডি কক ৫৭, পাওয়েল ৫৪*; সিলস ২/১৫, ম্যাকয় ২/২৯)

  • অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস: ১৫২/৪ (১৯.৪ ওভার; কারিমা ৬৪*, জুয়েল ২৮; মুজিব ১/২৩, ওয়ারিক্যান ১/২৩)

  • ফল: অ্যান্টিগা ৬ উইকেটে জয়ী

  • ম্যাচসেরা: কারিমা গোর


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.