ম্যাচের শুরুতেই আর্নে স্লটের লিভারপুল দারুণ ছন্দে ছিল। মাত্র চার মিনিটের মাথায় নতুন মুখ হুগো একিতিকে চমক দেখান। ফ্লোরিয়ান উইর্টজের পাস পেয়ে বাম প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনকে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের মাঝপথে লিভারপুলের রক্ষণের অমনোযোগের সুযোগে সমতায় ফেরে প্যালেস। অফসাইড ফাঁদ ভেঙে জাঁ-ফিলিপ মাতেতা একা এগোলেও আলিসন বেকারকে পাশ কাটাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু পরক্ষণেই বল পেয়ে ইসমাইলা সারকে ফাউল করেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। পেনাল্টি থেকে মাতেতা সহজেই গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান।
কিছুক্ষণ পরই আবার লিড নেয় লিভারপুল। ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জেরেমি ফ্রিমপং ক্রস তুলতে চাইলেও বল ভেসে গিয়ে সরাসরি জালে জড়ায়, হেন্ডারসনের মাথার ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কিছু সুযোগ পায় লিভারপুল, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের শেষ দিকে অ্যাডাম হুয়ার্টনের পাসে দৌড়ে গিয়ে ইসমাইলা সার বল জালে জড়িয়ে প্যালেসকে সমতায় ফেরান। এরপর পাল্টা আক্রমণে সার প্রায় দ্বিতীয় গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মিলোস কেরকেজের দুর্দান্ত ট্যাকলে রক্ষা পায় লিভারপুল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ থাকায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও হার্ভি এলিয়টের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে ৩-২ ব্যবধানে শুটআউট জিতে কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা ঘরে তুলে ক্রিস্টাল প্যালেস।
লিভারপুলের জন্য নতুন মৌসুমের শুরুতে এটি এক সতর্কবার্তা। অন্যদিকে, ক্রিস্টাল প্যালেসের এই জয় প্রমাণ করে তারা বড় দলগুলোকেও টেক্কা দিতে সক্ষম।