বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

ফ্যাবিও’র বিশ্বরেকর্ড: সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার নতুন নাম

 ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফ্যাবিও ডেইভসন লোপেজ বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। তিনি ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার পিটার শিলটনের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। শিলটনের ১৩৮৭ বা ১৩৯০ ম্যাচ খেলা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ফ্যাবিও গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে ১৩৯১তম ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড নিজের নামে করেছেন।

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৪৪ বছর বয়সী ফ্যাবিও গতকাল ক্লাবটির হয়ে কোপা সুদামেরিকানার ম্যাচে আমেরিকা ডি কালির বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর তার ২৮ বছরের ক্যারিয়ার পুরোটাই কেটেছে ব্রাজিলের পাঁচটি ক্লাবে, যেখানে তিনি মোট ১৩৯১টি ম্যাচ খেলেছেন।

ফ্যাবিও ফ্লুমিনেন্স ছাড়াও উনিয়াও বান্দেইরান্তে, অ্যাতলেটিকো পারানায়েস, ভাস্কো দ্য গামা এবং ক্রুজেইরোর হয়ে খেলেছেন। এর মধ্যে ক্রুজেইরোর জার্সিতে (২০০৫–২০২২) তিনি সর্বোচ্চ ৯৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন। গতকালের বিশ্বরেকর্ড গড়ার ম্যাচটি ছিল ফ্লুমিনেন্সের হয়ে তার ২৩৫তম ম্যাচ। এছাড়া ভাস্কো দ্য গামার হয়ে তিনি ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন।

গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, শিলটনের নামে ১৩৯০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল, যদিও তিনি নিজে ১৩৮৭ ম্যাচের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কারণে ফ্যাবিও’র লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা ছিল। শিলটন তার ক্যারিয়ারে ক্লাবের হয়ে ১২৪৯ এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন, যা মোট ১৩৭৪ ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘এক্সটারনাল’ জানায়, শিলটন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন, যা যোগ করলে তার ম্যাচ সংখ্যা ১৩৮৭ হয়। তবে এটি সিনিয়র দলের ম্যাচ হিসেবে গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিতর্ক এড়িয়ে ফ্যাবিও ১৩৯১ ম্যাচ খেলে বিশ্বরেকর্ড নিজের নামে করেছেন। তিনি কখনো ব্রাজিলের সিনিয়র জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি, তবে ১৯৯৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের তালিকা:

  • ফ্যাবিও – ১৩৯১

  • পিটার শিলটন – ১৩৮৭/১৩৯০

  • ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো – ১২৮৩

  • পল বাস্তোক – ১২৮৪

  • রজারিও সেনি – ১২২৬


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.