গত রোববার জিম্বাবুয়ের ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগে ফিরে এসেছেন ক্রিমার। ৪৫ ওভারের এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই ৪৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই লেগ স্পিনার। পরের ম্যাচেও ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। স্বীকৃত ক্রিকেটে তার সর্বশেষ ম্যাচ ছিল ওই বছরের ডিসেম্বরে ঘরোয়া প্রো৫০ চ্যাম্পিয়নশিপে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ক্রিমারের। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায়। ওই সিরিজের দুই টেস্টে ছয় উইকেট নেন তিনি। একই বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্টে আরও ছয় উইকেট শিকার করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দুটি টেস্ট খেলেন তিনি। তবে এরপর জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে নতুন শুরুর আশায় ট্রায়াল দেন ক্রিমার, কিন্তু সফল হননি। ফিরে আসেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। ২০০৮ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ২০০৯ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তার। লেগ স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দারুণ উন্নতি করেন তিনি।
২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের অধিনায়কত্ব পান ক্রিমার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে এবং ৫ টি-টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দেন। অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে একটি সেঞ্চুরিও উপহার দেন তিনি। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যর্থতার পর জিম্বাবুয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারায়। এরপর ক্রিমারের জীবন নেয় নতুন মোড়। তার স্ত্রী মের্না উড়োজাহাজের পাইলট। বাচ্চাদের দেখভাল ও পরিবার সামলানোর জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়ে তিনি দুবাইয়ে স্ত্রীর সঙ্গে থিতু হন। তখন বলেছিলেন, এই বিরতি সাময়িক এবং তিনি দ্রুত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ফিরতে চান। কিন্তু সেই বিরতি দীর্ঘায়িত হয় সাত বছরেরও বেশি।
এই সময়ে তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে কিছুটা যুক্ত ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচিং স্টাফে কাজ করেছেন এবং জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক ছিলেন। এছাড়া গল্ফ খেলায়ও ব্যস্ত ছিলেন। এখন আবার তিনি ক্রিকেটার পরিচয়ে ফিরেছেন। জিম্বাবুয়ের ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগে তাকাসিংহা প্যাট্রিয়টস ওয়ান ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে তিনি এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।