রুট নিজেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ড্র হয়, যেখানে রুট উঠে এসেছেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তার বর্তমান সংগ্রহ ১৩,৫৪৩ রান, শীর্ষে আছেন শচীন টেন্ডুলকার (১৫,৯২১ রান)।
অস্ট্রেলিয়া সফর রুটের জন্য সবসময়ই ছিল বেদনাময়। দলের সঙ্গে জয় না পাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও নেই সেঞ্চুরির দেখা। এখানে ২৭ ইনিংসে তার গড় ৩৫.৬৮, রয়েছে মাত্র নয়টি হাফসেঞ্চুরি—যা রুটের নামের পাশে বেশ বেমানান পরিসংখ্যান।
তবে অতীত ভুলে এবার রুটের মনোযোগ শুধু দলের জয়ের দিকে। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় আগেও কয়েকবার খেলেছি। এখন যখন আমার ১৫০টিরও বেশি টেস্টের অভিজ্ঞতা আছে, মনে করি এর চেয়ে বেশি প্রস্তুত আর হতে পারি না। আগেরবার হয়তো সেঞ্চুরির চিন্তাটা বেশি করেছিলাম, যা আসল কাজে মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছিল।”
২০১৭-১৮ ও ২০২১-২২ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে জেতে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডে সিরিজ ২-২ ড্র হলেও শিরোপা ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া, আগের সিরিজে জেতার সুবাদে। শেষবার ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জিতেছিল ২০১০-১১ সালে। এরপর থেকে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি।
আগের অ্যাশেজে নানা ঘটনায় মনোযোগ হারানোর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রুট বলেন, “আমি তখন অধিনায়ক ছিলাম, ২০২১-২২ সালে ছিল কোভিড পরিস্থিতি, তার আগেরবার স্টোকস ঘটনার জন্য দল থেকে বাদ পড়েছিল, জনি বেয়ারস্টোর হেডবাট কাণ্ডও ছিল। এবার আমি শুধু সফরটা উপভোগ করতে চাই। অস্ট্রেলিয়া সুন্দর দেশ, ক্রিকেট খেলার দারুণ জায়গা। নিজের সেরাটা দিতে পারলে বাকিটা ঠিক হয়ে যাবে।”
এবারের অ্যাশেজ শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থে। এরপর দিবা-রাত্রির টেস্ট হবে ব্রিসবেনে। তৃতীয় টেস্ট অ্যাডিলেডে, আর ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট হবে মেলবোর্নে। জানুয়ারিতে সিডনিতে হবে সিরিজের শেষ টেস্ট।