সদ্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশ দল ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। মঙ্গলবার অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন, “আমরা এখানে এসেছি এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। মাঠে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
ফিফা র্যাংকিংয়ে লাওস ১০৭ নম্বরে থাকলেও বাংলাদেশ ১২৮ নম্বরে, ২১ ধাপ পিছিয়ে। তবে কোচ পিটার বাটলার লাওসের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি অনুশীলনে আফঈদা ও নবীন খেলোয়াড়দের নিয়ে রক্ষণ সামলে আক্রমণাত্মক খেলার কৌশল প্রস্তুত করেছেন। বাটলার বলেন, “লাওসের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। দক্ষিণ কোরিয়া খুবই শক্তিশালী, তবে আমরা প্রস্তুত।”
বাংলাদেশের লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া অথবা তিনটি সেরা রানার্সআপ দলের একটি হওয়া। ৩৩ দলের এই বাছাইপর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং তিনটি সেরা রানার্সআপ দল ২০২৬ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। যদি স্বাগতিক থাইল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে চতুর্থ সেরা রানার্সআপ দলও মূলপর্বে সুযোগ পাবে।
লাওস ও তিমুরলেস্তের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে যতটা সম্ভব কম ব্যবধানে হার বা ড্র করতে পারলে বাংলাদেশের সেরা রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। ৮ আগস্ট তিমুরলেস্তে এবং ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
কোচ বাটলার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সিনিয়র নারী দল এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করে স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন অনূর্ধ্ব-২০ দলের পালা। আমরা মাঠে নিজেদের উন্নতি প্রমাণ করতে চাই।” দলের আত্মবিশ্বাস এবং কোচের কৌশলগত প্রস্তুতির ওপর ভর করে বাংলাদেশ এই বাছাইপর্বে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে।