অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে ডিএক্সসি অ্যারেনায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা ১৮৬ রানের সংগ্রহ গড়ে। মারকুটে ওপেনার জিসান আলম ৪৬ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। এছাড়া আফিফ হোসেন অপরাজিত ৪৮ রান করেন, ২৩ বলে ৯টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস।
ইনিংসের শুরুতে জিসান ও নাঈম শেখ মিলে ৬.৪ ওভারে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। নাঈম ১৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন। জিসান ৪৫ বলে ৭১ রান তুলে নন্দন যাদবের শিকার হন। এরপর আফিফ ও সাইফ হাসানের জুটি ভাঙে রান আউটে, সাইফ ১১ বলে ১১ রান করেন। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫) ও তোফায়েল আহমেদ (৫) দ্রুত ফিরলেও আফিফ এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে ১৮৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন।
১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেপাল দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের ফলে আইসিসির সহযোগী সদস্য রাষ্ট্রটি খেই হারায়। মিডল অর্ডার ব্যাটার কুশল মাল্লা ৪৭ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। আসিফ শেখ ২৮ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রাকিবুল হাসান ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ ২ উইকেট এবং রিপন মন্ডল ও তোফায়েল আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন। নেপাল ২০ ওভারে ১৫৪ রানে থামে।
নেপালের বোলারদের মধ্যে রিজান ধাকল ২ উইকেট নেন, কারান কেসি, নন্দন যাদব ও সন্দীপ লামিচানে ১টি করে উইকেট পান। জিসান আলম ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’: ১৮৬/৬ (২০ ওভার; জিসান ৭৩, আফিফ ৪৮*; ধাকল ২/৩৫)
নেপাল: ১৫৪/৭ (২০ ওভার; মাল্লা ৫৯*, শেখ ২৮; রাকিবুল ৩/১৮, মাহমুদ ২/২৫)
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ৩২ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: জিসান আলম
বাংলাদেশ ‘এ’ দল পরবর্তী ম্যাচে ১৯ আগস্ট পার্থ স্করচার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে খেলবে।