বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুর্দান্ত অগ্রযাত্রা, ফিফার বিশেষ পোস্টে প্রশংসা

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছে। বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে জাতীয় দল এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করছে। প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এই অসাধারণ অগ্রযাত্রার প্রশংসায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ পোস্ট প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ফিফা তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিশ্বব্যাপী পাবলিক করা এক পোস্টে ছয়টি ফটোকার্ড শেয়ার করেছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “১০০-এর কাছাকাছি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করার পর ফিফা/কোকা-কোলা নারী র‍্যাংকিংয়ে উপরের দিকে উঠেছে। সামনে রয়েছে ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা।”

প্রথম ফটোকার্ডে ফিফা বাংলাদেশের র‍্যাংকিংয়ের গ্রাফ প্রকাশ করে লিখেছে, “বাংলাদেশ ফিফা নারী র‍্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী দল।” দ্বিতীয় ফটোকার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, “২০২৩ সালের আগস্টে ফিফা নারী বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম। কিন্তু ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর তারা উঠে এসেছে বিশ্বের ১০৪ নম্বরে।”

তৃতীয় ফটোকার্ডে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার উদাহরণ দিয়ে ফিফা লিখেছে, “এতদিন এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ কখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। কিন্তু ২০২৫ সালের বাছাইপর্বে তারা একটিও ম্যাচ না হেরে অপরাজিত থেকে ইতিহাস গড়েছে। আগামী বছর মূল টুর্নামেন্টে শীর্ষ ছয়ের মধ্যে থাকতে পারলে প্রথমবারের মতো ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি হবে।”

বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনের কারণও তুলে ধরেছে ফিফা। চতুর্থ ফটোকার্ডে লেখা হয়েছে, “এই দ্রুত অগ্রগতির পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা ‘এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭’ এবং ফিফার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে পাওয়া ধারাবাহিক সহায়তা।”

এছাড়া, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের কথাও উল্লেখ করেছে ফিফা। পঞ্চম ফটোকার্ডে লেখা হয়েছে, “পরপর দুইবার দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে দলটির আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। এই টুর্নামেন্ট ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থায়নে উপকৃত হয়েছে।”

সবশেষে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালের মন্তব্য তুলে ধরেছে ফিফা। তিনি বলেছেন, “ফিফা নারী ফুটবলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। যার ফলস্বরূপ নারী ফুটবলের প্রতি দর্শক ও ভক্তসংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.