ইংল্যান্ড ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল। হ্যারি ব্রুক একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন এবং জো রুটের সঙ্গে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন। রুট নিজেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেবে। কিন্তু হঠাৎ ব্রুক আকাশ দীপের বলে আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে আউট হন। এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ভারতের পক্ষে। সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে।
নিজের ইউটিউব শো ‘অ্যাশ কী বাত’-এ অশ্বিন বলেন, “হ্যারি ব্রুক যখন ১০০-৩ স্কোরে ব্যাট করতে নামে, তখন ইংল্যান্ড ম্যাচে ছিল না। আকাশ দীপের বিপক্ষে ঝুঁকি নিয়ে রান তুলছিল। তখন মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড বড় জয়ের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু তার আউট হওয়ার পরই ম্যাচ ঘুরে যায়। এই মুহূর্তটা ব্রুকের জন্য স্মরণীয় হতে পারত। সে মাথা উঁচু করে ওভাল ছাড়তে পারত। তার পাশে থাকতেন রেকর্ড ভাঙা জো রুট। ইংল্যান্ড সিরিজ ৩-১ এ জিতত।”
অশ্বিন মনে করেন, ব্রুকের দায়িত্বজ্ঞানহীন শটই ম্যাচের ফলাফল বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “ব্রুক দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলেছে। তার শাস্তি হিসেবে ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরেছে এবং সিরিজ ড্র করতে হয়েছে। অধিনায়ক বা কোচ হিসেবে বলা যায়, এটা আমাদের খেলার ধরন। ব্রুক আমাদের দর্শনে বিশ্বাস রেখেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ভারসাম্য রাখা জরুরি। হ্যাঁ, এই মানসিকতাই প্রথম ইনিংসে রান এনে দিয়েছে। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ১০০ রানে খেলার সময়, যখন জয় কাছাকাছি, তখন দলের দায়িত্ব নেওয়া জরুরি।”
অশ্বিন আরও যোগ করেন, ইংল্যান্ড তাদের দ্রুত রান তোলার তাড়ায় ‘ক্রিকেট দেবতাদের’ অপমান করেছে। তিনি বলেন, “ব্রুক সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। সব চাপ পড়ে গেল রুটের ওপর। ভারতের সৌভাগ্য, তখন পরিবেশও বদলে যায়। ক্রিকেট দেবতাদের অসম্মান করলে এমনটাই হয়। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দেবতাদের অপমান করেছে। মেঘ জমাট বেঁধে নেমে এসেছে, মাঠ কেঁদেছে, আর বল ঘুরতে শুরু করেছে।”