শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮০ হাজার, উয়েফা ফিলিস্তিনি শিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছে

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

গত বৃহস্পতিবার সাবেক ফিলিস্তিনি ফুটবলার সুলেইমান আল-ওবাইদের মৃত্যু নিয়ে উয়েফা একটি বিবৃতি দেয়, তবে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ বা প্রেক্ষাপট উল্লেখ করেনি। তবে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ওবাইদ দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।

উয়েফার পোস্ট উদ্ধৃত করে লিভারপুল ও মিশরের তারকা মোহাম্মদ সালাহ লিখেছেন, “আপনারা কি বলতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?”

এছাড়া শনিবার লিভারপুল-ক্রিস্টাল প্যালেস কমিউনিটি শিল্ড ম্যাচ সম্প্রচারে সাবেক মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ আবুত্রিকা ইসরায়েলকে নিন্দা জানিয়ে ফিফা ও উয়েফাকে আহ্বান জানান, ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য। তিনি বলেন, “ইসরায়েল ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে ৪২০ জন ফুটবলারের। ১৪০টি ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফিফা ও উয়েফা পদক্ষেপ নিয়েছে, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব কখন থামবে? আমরা শুধু কথা চাই না, বাস্তব পদক্ষেপ চাই।”

উয়েফা সাধারণত ইসরায়েলের অবস্থান নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে না। তবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সম্পাদক থিওডর থিওডোরিডিস বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

পিএসজি-টটেনহ্যাম সুপার কাপ ম্যাচের আগে উয়েফা মাঠে ‘শিশু হত্যা বন্ধ করুন, বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করুন’ ব্যানার প্রদর্শন করেছে। এতে গাজা বা ফিলিস্তিনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।

উয়েফা দুই ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুকে ম্যাচ-পরবর্তী মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত করেছে। তাদের শিশু ফাউন্ডেশন গাজার শিশুদের জন্য মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাচ্ছে।

উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন বলেন, “যুদ্ধ চালানো প্রাপ্তবয়স্করা যা-ই ভাবুক, শিশুদের কোনো দোষ নেই। তারা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যাতে অন্তত কিছুটা শান্তি ও আশার মুহূর্ত পায়।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.