এশিয়া কাপের দুয়ারে কড়া নাড়ার আগে শারজাহতে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের জন্য যেন অশনিসংকেত হয়ে এলো আফগানিস্তানের কাছে ১৮ রানের হার। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে। ইব্রাহিম জাদরানের ৪৫ বলে ৬৫ রান এবং সেদিকুল্লাহ আতালের ঝোড়ো ৬৪ রানের ইনিংস আফগানদের ইনিংসকে শক্তিশালী করে। পাকিস্তানের পেসার ফাহিম আশরাফ তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন ২৭ রানে, তবে তিনি আফগান ব্যাটারদের তেমন আটকে রাখতে পারেননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হয়। নিজের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফখর জামান ১৮ বলে ২৫ রান করে মোহাম্মদ নবির শিকার হন। নবি এদিন আরও এক উইকেট নেন, মোহাম্মদ হারিসকে আউট করে। তিনি ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ দিকে হারিস রউফ ১৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন, যার মধ্যে ছিল চারটি ছক্কা। তবে তাতেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১৫১ রানে থামে।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান, ফজলহক ফারুকি এবং নূর আহমদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। তাদের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
ম্যাচের আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা মাঠে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। আফগানিস্তানের ভূমিকম্প এবং পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় নিহতদের স্মরণে এই মুহূর্তটি পালিত হয়।
এই হার সত্ত্বেও ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই-তৃতীয়াংশ খেলা শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় স্থানে আফগানিস্তান। বুধবার বিশ্রামের পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান মুখোমুখি হবে এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।