চলমান নেদারল্যান্ডস সিরিজের শুরু থেকেই এর ট্যাগলাইন ছিল ‘প্রস্তুতি সিরিজ’। তবে এই প্রস্তুতির পথে বাংলাদেশ খুব বেশি এগোতে পারেনি। দল নিরাপদ পথে হেঁটে সিরিজ নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে খুব বেশি হাঁটেনি।
ম্যানেজমেন্টের নিরাপদ খেলার প্রবণতা প্রথম দুই ম্যাচের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট। নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো খেলোয়াড়রা স্কোয়াডে জায়গা পেলেও একাদশে সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে দল বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, যা রাতের শিশির ও উইকেটের স্বাভাবিক সহায়তার কথা বিবেচনা করলে যৌক্তিক। তবে প্রশ্ন উঠেছে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে। আগের ম্যাচে শীর্ষ চার ব্যাটারের পর মিডল অর্ডার ব্যাট ধরার সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে কেন তাদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়া হলো না? সিরিজের আগে ২০০ রান করার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হলেও সেই সুযোগ কেন পায়ে ঠেলে দেওয়া হলো? এই প্রশ্নগুলো সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ হাসান তামিমের কাছেও উঠে এসেছে, যিনি ম্যানেজমেন্টের পক্ষে নিরাপদ জবাব দিয়েছেন।
শেষ ম্যাচের আগে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নগুলো আবারও উঠছে। আগের দুই ম্যাচে যা হয়নি, তা কি এবার হবে? একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলামের মতো খেলোয়াড়রা সুযোগ পেতে পারেন। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, আর সাইফ হাসান ও শেখ মাহেদি হাসান বাদ পড়তে পারেন। রিশাদ হোসেনও ফিরতে পারেন। এমনটা হলে স্কোয়াডের সব সদস্যই এই সিরিজে অন্তত একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন।
তবে বড় প্রশ্ন, টস জিতলে কি এবার ব্যাটারদের ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ নিতে দেওয়া হবে? ম্যানেজমেন্ট এই ‘উচিত’ পথে হাঁটবে কি না, তা এখনো ধোঁয়াশায়। টস জেতা এখানে পূর্বশর্ত। বাংলাদেশ টস জিতবে কি না, সেটা সময়ের হাতে।