সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ক্রিস গেইলের ক্ষোভ: পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অসম্মানের অভিযোগ

 ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংসের মালিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। এই মহাতারকার অভিযোগ, পাঞ্জাব কিংস তাকে অসম্মান করেছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন গেইল। এই টুর্নামেন্টে তিনি ১৪২ ম্যাচে মোট ৪,৯৬৫ রান সংগ্রহ করেছেন।

২০২১ সালে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে গেইলের শেষ আইপিএল মোটেও ভালো কাটেনি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে তিনি আইপিএল ছেড়ে চলে যান। তখন তিনি জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, এটি মূল কারণ ছিল না।

গেইল বলেন, “পাঞ্জাবের সঙ্গে আমার আইপিএল ক্যারিয়ার সময়ের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আমাকে অসম্মান করেছে। আমার মনে হয়েছিল, লিগের জন্য এত কিছু করা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মান বাড়ানোর পরও একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আমার সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হয়নি। তারা আমাকে শিশুর মতো দেখেছে। জীবনে প্রথমবার মনে হয়েছিল, আমি হতাশায় ডুবে যাচ্ছি।”

ক্যারিবিয়ান এই তারকা আরও বলেন, “মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য অর্থের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি আনিল কুম্বলেকে (তৎকালীন পাঞ্জাবের প্রধান কোচ) ফোন করে বলেছিলাম যে আমি চলে যাচ্ছি। তখন বিশ্বকাপ কাছাকাছি ছিল, আর জৈব সুরক্ষা বলয় আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিচ্ছিল। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আমার শেষ ম্যাচের পর ভেবেছিলাম, ‘সবকিছু অর্থহীন। এখানে থাকলে আমি নিজের আরও ক্ষতি করব।’”

গেইল আরও জানান, “আনিল কুম্বলের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমি ভেঙে পড়েছিলাম, কারণ আমি সত্যিই কষ্ট পেয়েছিলাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি যেভাবে চলছিল, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছিলাম। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘ক্রিস, থাকো, তুমি পরের ম্যাচ খেলবে।’ আমি শুধু বলেছিলাম, ‘তোমার জন্য শুভকামনা।’ এরপর ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাই।”

৪৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, “আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। আমাকে পাওয়া যাবে। যদি আমাকে চায়, আমি আসব। তবে হ্যাঁ, আমার ক্ষোভ আছে।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.