পেহেলগাম-কাণ্ডের পর প্রথমবারের মতো ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াই গোটা ক্রিকেটবিশ্বের নজর কাড়বে। আট জাতির এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী ভারত ও পাকিস্তানের বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য এই ম্যাচ চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়।
এবারের এশিয়া কাপে বিজয়ী দল পাবে ৩ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার, যা গত টি-টোয়েন্টি সংস্করণের তুলনায় দেড় গুণ বেশি। টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর। আটটি দল দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত; গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার ফোরে উঠবে, এবং সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। ফলে ভারত ও পাকিস্তান তিনবার পরস্পরের মুখোমুখি হতে পারে—গ্রুপ পর্বে, সুপার ফোরে এবং সম্ভাব্য ফাইনালে।
এশিয়া কাপের ১৭তম আসর এটি, এবং বাংলাদেশ ১৫তম বারের মতো এতে অংশ নিচ্ছে। আজ, ৯ সেপ্টেম্বর, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) আফগানিস্তান ও হংকং ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের সূচনা হবে। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।
এদিকে, গত পরশু শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি বোলার ওয়াসিম আকরাম উভয় দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “সীমা লঙ্ঘন করবেন না।”
ভারত ও পাকিস্তান শেষবার দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, যেখানে ভারত ছয় উইকেটে জয়ী হয়। বর্তমানে ভারতই এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ২০২৩ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা শিরোপা জিতেছিল। এবারের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটি আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।