শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল বাংলাদেশ

কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফিফা প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। কিরন লিম্বু ও আয়ুশদের দ্রুতগতির আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকলেও জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজের দল সম্মান বাঁচিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। মাঠে উপস্থিত দর্শকরা একবাক্যে স্বীকার করেছেন, স্বাগতিক নেপালই দক্ষতায় এগিয়ে ছিল।

বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা গোলপোস্টে মিতুল মারমার পরিবর্তে সুজন হোসেনের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। সেন্টার ব্যাক পজিশনে তপু বর্মণের সঙ্গে ছিলেন তারিক কাজী। রাইট ব্যাকে খেলেছেন সাদউদ্দিন, আর লেফট ব্যাকে ছিলেন রহমত মিয়া। মাঝমাঠে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা মূল দায়িত্বে ছিলেন। ডান দিকে আক্রমণে ছিলেন ইব্রাহিম, আর বাঁ দিকে রাকিব হোসেন। গোলের দায়িত্বে ছিলেন সুমন রেজা। তবে পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।

ম্যাচের শুরুতেই জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে তপুর হেড নেপালের গোলকিপার কিরন চেমজং লিম্বু রুখে দেন। ফিরতি শটে জামাল বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। ৩০ মিনিটে নেপালের মানি কুমারের দূরপাল্লার ফ্রি-কিকে জুং কারকির হেড সুজন হোসেন দারুণভাবে প্রতিরোধ করেন। তারিক কাজী পরে বল ক্লিয়ার করেন। ৩৩ মিনিটে মানি কুমারের আরেকটি ফ্রি-কিকে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে সাদউদ্দিনের ফাউলের কারণে নেপাল ফ্রি-কিক পায়, তবে মানি কুমারের শট সুজন হোসেন সহজেই আয়ত্তে নেন। ৩৯ মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা কর্নার গোলকিপার রুখলেও ফিরতি শটে সুমন রেজা বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ ইব্রাহিমের পরিবর্তে শাহ রাইয়ান ইমনকে নামানো হয়। ৭২ মিনিটে সুমন রেজার ক্রসে রাকিবের হেড বাইরে চলে যায়। ৭৬ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় তাজ উদ্দিনের দূরপাল্লার শট নেপালের গোলকিপারের হাত ফসকে গেলেও সামনে কেউ না থাকায় বিপদ হয়নি।

দুই দলের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত কোনো গোল হয়নি। সিরিজের শেষ ম্যাচটি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.