২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্ব শেষ করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে এল আল্টোর উচ্চভূমিতে লা ভার্দেদের বিপক্ষে এই হারের পর ব্রাজিল বাছাইপর্বে পঞ্চম স্থানে থেকে তাদের যাত্রা সমাপ্ত করে। তাদের সাফল্যের হার মাত্র ৫১ শতাংশ, যা ব্রাজিলের বাছাইপর্বের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ।
১৮ ম্যাচে ৮ জয়, ৪ ড্র এবং ৬ হারের পর ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮ পয়েন্ট। এত কম পয়েন্ট তারা এর আগে কখনো পায়নি। এর আগে তাদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল ২০০২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে, যখন তারা ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। তবে সেবার শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছিল সেলেসাওরা।
এবারের বাছাইপর্বে ব্রাজিলকে তিন ভিন্ন কোচের অধীনে খেলতে হয়েছে—ফার্নান্দো দিনিজ, দরিভাল জুনিয়র এবং কার্লো আনচেলত্তি। তবুও দলের পারফরম্যান্সে স্থিতি আসেনি। মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলের লজ্জাজনক হার ছিল তাদের বাছাইপর্বের সবচেয়ে বড় পরাজয়। এটিই ছিল ব্রাজিলের ইতিহাসে প্রথমবার ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার কাছে হারার অভিজ্ঞতা।
হতাশাজনক বাছাইপর্ব সত্ত্বেও ব্রাজিল ২০২৬ বিশ্বকাপে শীর্ষ বাছাই দল হিসেবে খেলবে, কারণ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তারা এখনো শীর্ষ নয়টি দলের মধ্যে রয়েছে। ব্রাজিলের বাছাইপর্বের পারফরম্যান্সের ইতিহাস (১৯৯৬ থেকে):
২০০২: ৩০ পয়েন্ট, ৩য় স্থান
২০০৬: ৩৪ পয়েন্ট, ১ম স্থান
২০১০: ৩৪ পয়েন্ট, ১ম স্থান
২০১৮: ৪১ পয়েন্ট, ১ম স্থান
২০২২: ৪৫ পয়েন্ট, ১ম স্থান
২০২৬: ২৮ পয়েন্ট, ৫ম স্থান
আগের ফরম্যাট অনুযায়ী পঞ্চম স্থানে থাকলে ব্রাজিলকে প্লে-অফ খেলতে হতো। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮ দলের অংশগ্রহণের কারণে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পায়, ফলে ব্রাজিল প্লে-অফের লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে।