এর আগে ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৭ রানের জয় ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের রেকর্ড, যা গড়েছিল ভারত। ইংল্যান্ড এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের পঞ্চম সর্বোচ্চ ইনিংস। দলের হয়ে জ্যাকব বেথেল ৮২ বলে ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। জো রুট ৯৬ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ১০০ রান করেন। ওপেনার জেমি স্মিথ ৪৮ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬২ রান এবং জস বাটলার ৩২ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন।
৪১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই ধাক্কা খায়। ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে। আর্চার ৪ উইকেট নেন মাত্র ১৮ রান দিয়ে। এছাড়া অ্যাডিল রশিদ ৩ উইকেট (৩-১৩) এবং ব্রাইডন কার্স ২ উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা কাফের ইনজুরির কারণে ব্যাটিং করতে পারেননি। ফলে দলটি ৭২ রানে গুটিয়ে যায়, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রায় সর্বনিম্ন স্কোর।
ইংল্যান্ডের এই ৩৪২ রানের জয় ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় হিসেবে রেকর্ডবুকে স্থান পেয়েছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে মনোবল ফিরে পেয়েছে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক এই জয়কে “চূড়ান্ত পারফরম্যান্স” হিসেবে অভিহিত করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি দুর্বল পারফরম্যান্স। আমরা এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাব।”
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের ৪০০+ স্কোরের রেকর্ডে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে (৭ বার)। তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ৪৯৮, যা ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গড়েছিল।