মেসির কথায়, আগামী বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা এখনও ‘৫০/৫০’। তিনি বলেন, “আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।” ৩৮ বছর বয়সে মেসির শরীর এখন তার ইচ্ছার সঙ্গে পুরোপুরি সায় দিচ্ছে না। এটিই তার সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলছে।
পরিসংখ্যানে বিষয়টি আরও স্পষ্ট। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে মেসির ফিটনেসে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত তিন বছরে চোটের কারণে তাকে ১৫০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এবং ১৭ দিনের বাড়তি বিশ্রাম নিতে হয়েছে। অথচ ২০১৮ বিশ্বকাপের আগের চক্রে এমন সমস্যায় তিনি মাত্র ৭৬ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। এই শারীরিক সমস্যার কারণেই মেসি এখনই বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান না।
তিনি বলেন, “আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়।”
মেসি এখন প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। তিনি জানান, “প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে খেলে আমি মৌসুমটা শেষ করতে চাই। এরপর প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি আছে, তারপরও ছয় মাস সময় বাকি থাকবে। তো দেখা যাক কেমন অনুভব করি। আশা করছি, মেজর লিগ সকারের চলতি মৌসুমটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব, এরপর ২০২৬ সালে একটা ভালো প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে পারব। তারপর নাহয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”
আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বাধিক ম্যাচ খেলা এই কিংবদন্তি ২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ফাইনালে হারের বেদনা পেরিয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে তিনি স্বপ্নের শিরোপা জিতেছেন। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে তিনি মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীন তিনি। সমর্থকদের জন্য এই অপেক্ষা যেন রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো।