ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। দল জয় পেয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। বাছাইপর্বে অবশ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আরো একটি ম্যাচ বাকি আছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় ইকুয়েডরের মাঠে সেই ম্যাচ খেলতে নামবে আলবিসেলেস্তেরা।
এই ম্যাচে মেসি খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘আমি লিও’র সঙ্গে কথা বলেছি। সে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলেছে–আমি ইনজুরি থেকে ফিরেছি। পুরো ফিট হয়ে ওঠার জন্য ভ্রমণ এবং পরবর্তী ম্যাচ এড়াতে চাই। আমরা এমএলএসে খেলছি, সেটাই লক্ষ্য এখন। আশা করি এর ভেতর সেরে উঠব।’ সর্বশেষ এক মাসে পাওয়া শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে মেসি জানিয়েছেন, ‘চোটের কারণে আমাকে ১৫ দিন দাঁড়িয়েই (কম দৌড়ানো অর্থে) কাটাতে হয়েছে, গতি কমে গিয়েছিল, আবার স্বাভাবিক অনুভব করছিলাম না…সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ আছে।
আশা করি বছরের শেষটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব এবং তারপর প্রি-সিজন ভালোভাবে শুরু করব।’ আরও পড়ুন ঝর্ণার সাথে গানের দিনও শেষ, তবু মেসির মনে স্রেফ সুখেরই রেশ ঝর্ণার সাথে গানের দিনও শেষ, তবু মেসির মনে স্রেফ সুখেরই রেশ এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন, ‘সে ইকুয়েডরে ভ্রমণ করবে না। সে ক্লান্ত। আসলে আমার উচিত ছিল তাকে আগে উঠিয়ে নেওয়া। কিন্তু তার খেলার আবেগ ছিল এবং আমরা আগেই পুরো ম্যাচ খেলানোর ব্যাপারে কথা বলেছিলাম, তাই মাঠে থেকে গেছে। তার ওপর চাপ বেড়ে গেছে। ইকুয়েডরে যাচ্ছে না। প্রাপ্য বিশ্রামটা তাকে পরিবারকে নিয়েই কাটাতে হবে।’
এদিকে মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাটা এখনো ফিফটি-ফিফটি। আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ভাষায়, ‘আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।’ ‘আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়’-যোগ করেন মেসি।