এমএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, চোট বা গুরুতর কারণ ছাড়া অল-স্টার গেমে নির্বাচিত কেউ খেলতে না চাইলে, তাকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়। মেসি ও আলবার অনুপস্থিতি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি মায়ামি। ফলে দুজনকেই পরবর্তী ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। মায়ামি আগামী রোববার খেলবে সিনসিনাটির বিপক্ষে, সেই ম্যাচে না-ও খেলতে পারেন এই দুই তারকা।
এ বিষয়ে এমএলএস কমিশনার ডন গারবার বলেন, "আগামী সপ্তাহে কী হবে তা নিয়ে আমরা এখনই কথা বলছি না। আমাদের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটা অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
তিনি স্বীকার করেন, মেসি সাম্প্রতিক সময়ে ক্লান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৫ দিনে ৯টি ম্যাচে পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলে গেছেন তিনি। মায়ামির ব্যস্ত সূচির কারণে তারা অন্য দলগুলোর মতো বিশ্রামও পায়নি।
তবে গারবার মনে করিয়ে দেন, "আমাদের একটি স্পষ্ট নিয়ম আছে এবং সেটা মানতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম মেসি খেলুন, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে নিয়েই প্রত্যাশা ছিল।"
গারবার বলেন, অল-স্টার গেমে মেসি খেলবেন না, তা আগে থেকেই জানানো উচিত ছিল মায়ামির পক্ষ থেকে। কোচ হাভিয়ের মাচেরানো এর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দরকার, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ক্লাবের।
এদিকে কমিশনার গারবার আরও বলেন, ডেভিড বেকহাম ছাড়া এমএলএস আজকের অবস্থানে পৌঁছাত না ঠিকই, তবে লিওনেল মেসির অবদানও এই উন্নয়নে অনস্বীকার্য।
ম্যাচে না খেলেও, মেসি ও আলবার অনুপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এখন দেখার বিষয়, এমএলএস কর্তৃপক্ষ এই দুই তারকার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।