প্রথমার্ধ শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে টানেলে প্রতিপক্ষ গোলকিপার রোচেতের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। ম্যাচ শেষে তিনি গ্যালারিতে গিয়ে এক সান্তোস সমর্থকের সঙ্গে তুমুল তর্কে জড়ান। ক্ষুব্ধ নেইমার এমনকি সমর্থককে “তুমি শক্ত নও? লকার রুমে এসো” বলে লড়াইয়ের আমন্ত্রণ জানান। সমর্থক এর জবাবে বলেন, তিনি দলের খেলা দেখতে আর্থিক খরচ করে এসেছেন এবং আরও প্রতিশ্রুতি দেখতে চান। সান্তোসের গোলকিপার জোয়াও পাওলো পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বিব্রতকর ঘটনা ঘটে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে। নেইমারের বাঁ-পায়ের ভলি শট গোলকিপার রোচেত ফিরিয়ে দিলেও বল পোস্টে লেগে গোললাইনে পড়ে। নেইমার ভেবেছিলেন এটি সমতাসূচক গোল। তিনি সমর্থকদের দিকে ছুটে গিয়ে উদযাপন শুরু করেন এবং উত্তেজনার মাঝে লাথি মেরে কর্নার ফ্ল্যাগ ভেঙে ফেলেন। কিন্তু পেছন ফিরে দেখেন খেলা চলছে! রোচেত গোললাইনে বল থামিয়ে দিয়েছিলেন, গোল হয়নি। গোল না করেই উদযাপনের জন্য নেইমার চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন।
ম্যাচে সান্তোসের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দলটি ব্রাজিলিয়ান সিরি এ’র রেলিগেশন জোনে রয়েছে, ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে। নেইমারের এই আচরণ ও ঘটনাগুলো সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তিনি পরে সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “ফুটবল খেলায় পারফরম্যান্সের সমালোচনা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পরিবারের প্রতি অপমান সহ্য করা কঠিন।” তিনি সান্তোসের জন্য লড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে দলের খারাপ ফলাফল ও সমর্থকদের সঙ্গে উত্তেজনা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
সান্তোসের পরবর্তী ম্যাচ স্পোর্টের বিপক্ষে ২৬ জুলাই। নেইমার ও দলের ওপর ফলাফলের জন্য চাপ বাড়ছে। ভক্তরা আশা করছেন, এই তারকা ফুটবলার মাঠে তার জাদু ফিরিয়ে আনবেন এবং দলকে রেলিগেশন জোন থেকে বের করে আনবেন।