বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

মিরপুরে পাকিস্তানের কাছে ৭৪ রানে হারলো বাংলাদেশ: বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষায় মিশ্র ফল

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৭৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। সিরিজ আগেই নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ দল বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে ফলাফল মোটেও সুখকর হয়নি। পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ বোলিং ও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়ে ম্যাচটি হেরেছে।

বাংলাদেশ একাদশে এই ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের জায়গায় বাদ পড়েন পারভেজ ইমন, তৌহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। অধিনায়ক লিটন দাস এই পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় বলেন, “তাসকিন অনেকদিন পর ফিরেছে। তার এবং শরিফুলের ইনজুরির ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের বুঝতে হবে কোন প্লেয়ারকে কতটুকু খেলালে তার জন্য ভালো হবে।”

তবে এই পরীক্ষানিরীক্ষা ফলপ্রসূ হয়নি। বোলিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথম ওভারে ১৪ রান দেন এবং আর বোলিংয়ে ফেরেননি। ব্যাট হাতে তিনি ৮ বলে ১০ রান করে আউট হন। ওপেনার মোহাম্মদ নাইমও ব্যর্থ, ১৭ বলে মাত্র ১০ রান করেন। টপ অর্ডারের এই ব্যর্থতায় রান তাড়ায় ধস নামে।

এক বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা নাসুম আহমেদ দলের সেরা পারফরমার ছিলেন। ৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স ছিল মিশ্র। প্রথম ৩ ওভারে ৯ রান দিলেও শেষ ওভারে ১৯ রান হজম করেন। ব্যাট হাতে ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করলেও তার মন্থর ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমাতে সক্ষম হয়।
অধিনায়ক লিটন দাস ম্যাচ শেষে বলেন, “এই পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি কে আমাদের পরিকল্পনার অংশ হবে এবং কাদের বাদ দেওয়া উচিত। আমাদের হাতে আরও দুই-তিনজন সেরা পেসার আছে। তাদের ঝুঁকি নিয়ে হারালে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হবে। প্রত্যেক প্লেয়ারকে সুযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।”

যদিও হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা ছিল, বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। তবে শেষ ম্যাচের এই পরাজয় দলের বেঞ্চ শক্তির দুর্বলতা উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.