সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগ, মিরপুর থানায় জিডি

 বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি গত রোববার (২৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় সংঘটিত হয়। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী সিফাতুর রহমান সৌরভ মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তাসকিন আহমেদ সিফাতুর রহমান সৌরভকে ফোনে ডেকে মিরপুর-১ নম্বরে নিয়ে যান। এরপর তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে জখম করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। থানা সূত্রে জানা গেছে, তাসকিন ও সৌরভের মধ্যে পূর্বে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, তবে কী কারণে এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে থানার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অভিযোগটি সত্য এবং এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে।

তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। এমনকি তার বাবা আব্দুর রশিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাসকিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি দাবি করেছেন, তার বন্ধু রসিকে মারধরের ঘটনায় তিনি মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে ফোন করেছিলেন, এবং এর জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি বাসা পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি ওদের মারিনি। ওরা আমার নামে মিথ্যা জিডি করে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।”

এই ঘটনা ক্রিকেটাঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জাতীয় দলের একজন তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাসকিন সম্প্রতি গত ২৪ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যিনি ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। তদন্তের অগ্রগতি পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে এই ঘটনা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.