ম্যাচের শেষে জাদেজা অপরাজিত ১০৭ এবং সুন্দর অপরাজিত ১০১ রান করে নিজেদের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সুন্দরের জন্য এটি ছিল প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। সুন্দরের সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার পরই দুই দল ম্যাচ ড্র ঘোষণায় সম্মত হয়। ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ ওভারে ৪২৫/৪ রানে শেষ করে, যেখানে অধিনায়ক শুবমান গিল ১০৩ এবং লোকেশ রাহুল ৯০ রান করেন।
স্টোকস যখন হ্যান্ডশেকের প্রস্তাব দেন, তখন ভারত ৭৫ রানে এগিয়ে ছিল। জাদেজা ৮৯ এবং সুন্দর ৮০ রানে ব্যাট করছিলেন। ম্যাচের ফলাফল তখনই ড্র নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, কারণ ইংল্যান্ডের একটি ইনিংস বাকি ছিল। তবে ভারতের ব্যাটসম্যানরা তাদের সেঞ্চুরির লক্ষ্যে এগিয়ে যান, যা ইংল্যান্ডের জন্য কিছুটা হতাশার কারণ হয়।
ম্যাচ শেষে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর এই প্রসঙ্গে বলেন, “কেউ যদি ৯০ বা ৮৫ রানে ব্যাট করে, তাদের কি সেঞ্চুরি পাওয়ার অধিকার নেই? ইংল্যান্ডের কেউ এই অবস্থায় থাকলে কি খেলা ছেড়ে দিত? আমাদের ব্যাটসম্যানরা সারা দিন প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলেছে, তারা সেঞ্চুরি অর্জন করেছে। আমরা এখানে কাউকে খুশি করতে আসিনি।”
স্টোকস ম্যাচ শেষে জাদেজা ও সুন্দরের প্রশংসা করে বলেন, “তারা অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলেছে। আমি মনে করি না ৮০ বা ৯০ রানে অপরাজিত ফিরে যাওয়ার চেয়ে শতরান করে দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করায় বেশি সন্তুষ্টি আছে। তবে এটা দলের জন্যই করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, তিনি তখন নিজের বোলারদের সুরক্ষার কথা ভেবেছিলেন, কারণ ম্যাচের ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তিনি মূল বোলারদের ঝুঁকি নিতে চাননি। এ কারণে তিনি হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের মতো খণ্ডকালীন বোলারদের ব্যবহার করেন।
‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’র পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩১ জুলাই ওভালে।