বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ম্যাক্স৬০ টি১০ লিগে বিশৃঙ্খলা: খেলোয়াড়দের বিক্ষোভে বাতিল পাঁচ ম্যাচ, সাকিবসহ তারকারা মাঠে নামেননি

 কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে চলমান ম্যাক্স৬০ টি১০ লিগে হঠাত করে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। খেলোয়াড়দের পাওনা অর্থ না পাওয়ার অভিযোগে একযোগে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান তারা। ফলে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) একদিনেই পাঁচটি ম্যাচ বাতিল হয়ে গেছে।

এই লিগে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছাড়াও খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলসের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, প্রতিযোগিতা শুরুর ৩০ দিন আগেই চুক্তি অনুযায়ী তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে তারা বিক্ষোভে নামেন এবং খেলায় অংশ নিতে অস্বীকার করেন।

সাকিব আল হাসান এই লিগে ‘মায়ামি ব্লেজ’ দলের অধিনায়কত্ব করছিলেন এবং দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে রেখেছিলেন। তিনি ছয় ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন ৫২ রান, সর্বোচ্চ ৩৩ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৫৭। বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট, সেরা বোলিং ছিল ২/১১, ইকোনমি রেট ৮.৪৬।

এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করছে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বিএমপি স্পোর্টস। খেলোয়াড়দের বিক্ষোভের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অসংগঠিত এবং বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে। প্রথমে ঘোষণা দেওয়া হয়, ফাইনাল খেলবে ‘ক্যারিবিয়ান টাইগার্স’ বনাম ‘ভেগাস ভাইকিংস’। অথচ বাকি ছিল আরও বেশ কিছু ম্যাচ। পরে সেই পোস্ট সরিয়ে দিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা ‘গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকনস’-কে নিয়ে ‘রানার-আপ প্লে-অফ’ আয়োজনের ঘোষণা দেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে।

বিশ্ব ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ) খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, “চুক্তিগুলোকে যেন কাগজের টুকরো মনে করা হচ্ছে।” তারা আরও দাবি করে, “আইসিসি অনুমোদিত ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও স্বার্থরক্ষায় আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

তবে এখনও পর্যন্ত আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিএমপি স্পোর্টস এই ঘটনার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, যা প্রশ্ন তুলেছে এই টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.