বিখ্যাত জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইভানোভিচের আইনজীবী এই বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালে একে অপরের সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার শোয়েন্সটেইগার ও ২০০৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী সার্বিয়ান টেনিস তারকা আনা ইভানোভিচ। ২০১৬ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর ইভানোভিচ পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নেন। তাদের সংসারে এসেছে তিন সন্তান।
তবে গত কয়েক বছর ধরেই দুজনের মধ্যে বাড়ছিল পারস্পরিক দূরত্ব। ৩৭ বছর বয়সী ইভানোভিচ পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ৪০ বছর বয়সী শোয়েন্সটেইগার বিশ্বজুড়ে ফুটবল বিশ্লেষকের কাজে সময় দিতেন বেশি। এর জের ধরেই সম্পর্কে ফাটল ধরে।
জানা গেছে, স্বামীর পরকীয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ইভানোভিচ। জার্মান মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সিলভা নামের এক বুলগেরিয়ান নারীর সঙ্গে নাকি গোপন সম্পর্কে জড়িয়েছেন শোয়েন্সটেইগার।
এর আগেও পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানদের নিয়ে নিজ দেশ সার্বিয়াতে বসবাস করছিলেন ইভানোভিচ। অবশেষে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে গেল এই আলোচিত দম্পতির সংসার।
একসময় যাদের প্রেমকাহিনি ছিল রূপকথার মতো, তাদের সম্পর্কের এই করুণ পরিণতি ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বিস্ময় ও দুঃখের ছাপ ফেলেছে।