ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ২৫তম মিনিটে স্পেনের মারিওনা কালদেন্তে ওনা ব্যাটলের ক্রসে হেড করে দারুণ গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকা স্পেনের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান অ্যালেসিয়া রুসো। ক্লোয়ি কেলির বক্সের বাইরে থেকে করা ক্রসে হেড করে গোল করেন তিনি। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ে দুই দল আর গোল করতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে স্পেনের প্রথম চার শটের তিনটিতেই গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা, যেখানে ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা আইতানা বোনমাতিও ছিলেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড তাদের প্রথম চার শটের দুটিতে গোল করে। শিরোপা নির্ধারণী পঞ্চম শটটি নেন ক্লোয়ি কেলি। ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড দারুণ শটে বল জালে জড়ান, এবং ইংলিশ মেয়েরা উল্লাসে মেতে ওঠে। ২০২২ ইউরো ফাইনালেও জয়সূচক গোলটি করেছিলেন কেলি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, “আমি শান্ত ও সংযত ছিলাম। জানতাম বলটা জালে জড়াবে।”
ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক কোচ সারিনা ভাইগমান। তিনি টানা তিনটি শিরোপা জিতেছেন—দুটি ইংল্যান্ডের হয়ে এবং একটি ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ভাইগমান বলেন, “আমরা বলেছিলাম, যে কোনো উপায়ে জিততে পারি। আজ আমরা তা প্রমাণ করেছি। দল ও স্টাফদের নিয়ে আমি খুব গর্বিত। এটা অবিশ্বাস্য।”