বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চিফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদিন এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর বিষয়ে বলেন, “২০০০ সালের দিকে এনসিএলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলত। আমরা সেই নিয়মে ফিরতে চাইছি। তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি, সবকিছু আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা প্রস্তাব দেব, এবং দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
২০২৩-২৪ মৌসুমে ডলার সংকটের কারণে ডিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো বন্ধ করে দলগুলো। তবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন করা হচ্ছে এই আসর। বিসিবির ধারণা, এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। ফলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। গত আসরেও জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আট দলের এই টুর্নামেন্টে ছিলেন না।
আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে মিনহাজুল বলেন, “বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি সময় নেই। এশিয়া কাপের জন্য ২৫ জনের একটি পুল নিয়ে এগোনো উচিত। সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে বেশিরভাগ ম্যাচ খেলানো দরকার। বিশ্বকাপের আগে সত্যিকারের স্পোর্টিং উইকেটে খেললে উপকার হবে।”
এশিয়া কাপের আগে ফাঁকা সময় থাকলেও ক্রিকেটারদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির পক্ষে নন মিনহাজুল। তিনি বলেন, “ক্রিকেটাররা টানা অনেকগুলো সিরিজ খেলেছে। এখন তাদের মানসিকভাবে চাঙা হওয়ার দরকার। তাই জোর করে কোনো চাপ দেওয়ার পক্ষে আমি নই। একটি সিরিজ খেললে ভালো, না হলে নতুন উদ্যমে এশিয়া কাপ দিয়ে তারা শুরু করতে পারবে।”
সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল টানা দুটি সিরিজ জয়কে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। বর্তমানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ছুটিতে রয়েছেন, তবে কয়েকদিন পরই তাদের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে।