গত মে মাসে বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালীন আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে নেতিবাচক আলোচনার সৃষ্টি হয়। আলমগীর সুইমিং ক্লাবের সাঁতারুরা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। ব্যাপক তোলপাড়ের মুখে ফেডারেশন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটিতে ছিলেন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) আতিকুল ইসলাম, সিইও সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাস। প্রায় দুই মাস ধরে তদন্ত চালানোর পর কমিটি তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে কমিটিকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হলেও ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য সময় বাড়ানো হয়। ফেডারেশন ১০ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, এবং আর সময় বাড়ানো হবে না।
ক্রীড়াঙ্গনে নারী ক্রীড়াবিদদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০০৯ সালে কুষ্টিয়ার নারী সাঁতারু আরিফা খাতুন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। জুনিয়র সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি স্বর্ণ জয়ী এই কিশোরী আনসারে চাকরি নেওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ২০১১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি। সতীর্থদের অভিযোগ ছিল, গর্ভবতী হওয়ার কারণে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার লাশ তড়িঘড়ি দাফন করা হয়েছিল।
এছাড়া, বছরকয়েক আগে ভারোত্তোলনে এক নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারী মো. সোহাগ মিয়া গ্রেফতার হন। তবে কিছুদিন পর তিনি মুক্তি পান এবং বর্তমানে ভারোত্তোলক হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জুজুতসুতেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে নারী ক্রীড়াবিদদের প্রতি যৌন হয়রানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।