রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

রাজশাহী আলমগীর সুইমিং ক্লাবের কোচের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন: তদন্ত রিপোর্ট জমা এ সপ্তাহে

রাজশাহীর আলমগীর সুইমিং ক্লাবের কোচ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে নারী সাঁতারুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট এ সপ্তাহে জমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ আগস্ট ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মে মাসে বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালীন আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে নেতিবাচক আলোচনার সৃষ্টি হয়। আলমগীর সুইমিং ক্লাবের সাঁতারুরা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। ব্যাপক তোলপাড়ের মুখে ফেডারেশন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কমিটিতে ছিলেন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) আতিকুল ইসলাম, সিইও সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাস। প্রায় দুই মাস ধরে তদন্ত চালানোর পর কমিটি তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে কমিটিকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হলেও ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য সময় বাড়ানো হয়। ফেডারেশন ১০ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, এবং আর সময় বাড়ানো হবে না।

ক্রীড়াঙ্গনে নারী ক্রীড়াবিদদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০০৯ সালে কুষ্টিয়ার নারী সাঁতারু আরিফা খাতুন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। জুনিয়র সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি স্বর্ণ জয়ী এই কিশোরী আনসারে চাকরি নেওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ২০১১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি। সতীর্থদের অভিযোগ ছিল, গর্ভবতী হওয়ার কারণে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার লাশ তড়িঘড়ি দাফন করা হয়েছিল।

এছাড়া, বছরকয়েক আগে ভারোত্তোলনে এক নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারী মো. সোহাগ মিয়া গ্রেফতার হন। তবে কিছুদিন পর তিনি মুক্তি পান এবং বর্তমানে ভারোত্তোলক হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জুজুতসুতেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে নারী ক্রীড়াবিদদের প্রতি যৌন হয়রানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.