সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ যুবাদের টানা দ্বিতীয় জয়

ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সোমবার (২৮ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ গড়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার, এবং উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপরাজিত থেকে ৬৪ বলে ৫৬ রান যোগ করেন।

জাওয়াদ ও রিফাত বেগ জুটি বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত শুরু। দুজনে মিলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান, যার ফলে স্বাগতিক বোলাররা বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। রিফাত ৩৫ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও জাওয়াদ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন। মাত্র ৩৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করে তিনি ৬৩ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কা।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও ভালো শুরু করেছিলেন, কিন্তু ৩৪ রান করে আউট হন। তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশ কিছুটা পথ হারায়। ১৭৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ১৮০ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে ২৭৪ রানের সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান।

২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান তুলে। প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন আল ফাহাদ। এরপর নাথানিয়েল হ্লাবানগানা (৫৩) ও কিয়ান ব্লিগনটের দ্বিতীয় উইকেট জুটি স্বাগতিকদের আশা জাগায়। কিন্তু নাথানিয়েল ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১৪০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আর মাত্র ৪৩ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ৪২.২ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট হয় তারা।

বাংলাদেশের হয়ে সামিউন বাশির ৩ উইকেট নেন, এবং আল ফাহাদ ও আজিজুল হাকিম প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.