জাওয়াদ ও রিফাত বেগ জুটি বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত শুরু। দুজনে মিলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান, যার ফলে স্বাগতিক বোলাররা বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। রিফাত ৩৫ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও জাওয়াদ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন। মাত্র ৩৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করে তিনি ৬৩ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কা।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও ভালো শুরু করেছিলেন, কিন্তু ৩৪ রান করে আউট হন। তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশ কিছুটা পথ হারায়। ১৭৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ১৮০ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে ২৭৪ রানের সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান।
২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান তুলে। প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন আল ফাহাদ। এরপর নাথানিয়েল হ্লাবানগানা (৫৩) ও কিয়ান ব্লিগনটের দ্বিতীয় উইকেট জুটি স্বাগতিকদের আশা জাগায়। কিন্তু নাথানিয়েল ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১৪০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আর মাত্র ৪৩ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ৪২.২ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট হয় তারা।
বাংলাদেশের হয়ে সামিউন বাশির ৩ উইকেট নেন, এবং আল ফাহাদ ও আজিজুল হাকিম প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে।