আইসিসির সহযোগী সদস্য দলগুলোর মধ্যে নেপাল একটি উল্লেখযোগ্য নাম। এশিয়ার এই পাহাড় ঘেরা দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু। ক্রিকেট তাদের প্রধান খেলা হলেও এখনও টেস্ট ম্যাচ খেলার মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি নেপাল। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ক্রিকেট পারফরম্যান্স নিয়ে নেপালের সঙ্গে তুলনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বাসিত আলী।
গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় পাকিস্তান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে একই ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সমালোচনার জবাব দেয় তারা। তবে ওয়ানডে সিরিজে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেলেও পরের দুটি ম্যাচে হেরে ৩৪ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারে তারা। বিশেষ করে শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয়ে চরম লজ্জার মুখে পড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এই হারের কারণে দেশে-বিদেশে দলটির তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
আগামী মাসে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট প্রায় প্রতি ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন আনছে। বাংলাদেশ সফরে প্রতি ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন দেখা গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনটি এবং শেষ ম্যাচে একটি পরিবর্তন আনে তারা।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী মনে করেন, দলে বারবার পরিবর্তনের কারণে ক্রিকেটাররা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন। তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘আমার মতে, আমাদের প্রধান কোচের উচিত অভিভাবকের মতো এত পরিবর্তন না করে পাকিস্তানের ক্রিকেটের সহায়ক হিসেবে কাজ করা। কখনো দুটো পরিবর্তন, আবার কখনো তিনটা—এটা তো ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মতো! বড় ইভেন্টের জন্য দল গোছাচ্ছি, এই কথা বলে কি জবাব দেবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান দলের আসল সমস্যা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। আপনি যদি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস না দেন এবং এভাবে পরিবর্তন করতে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয় তারা কেবল কাঠমান্ডুর মতো দলের সঙ্গে পারফর্ম করবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর পাকিস্তান দলে এটাই নেই।’