ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রিকেটের উপরও প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে, আইপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের উপর দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্য হান্ড্রেডেও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, কারণ এই টুর্নামেন্টের আটটি দলের মধ্যে চারটির মালিক ভারতীয় এবং আরও দুটি দলের মালিক ভারতীয়-আমেরিকান বংশোদ্ভূত।
তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) শুরু থেকেই স্পষ্ট করেছে যে, মালিকানা পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না। ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, “আমরা জানি, অন্যান্য অঞ্চলে এমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, কিন্তু এখানে তা ঘটবে না।”
গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফটে কোনো পাকিস্তানি পুরুষ ক্রিকেটার দলে নির্বাচিত হননি, যা নিয়ে অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, নতুন মালিকরা হয়তো পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এড়িয়ে গেছেন। তবে এর পেছনে বাস্তব কারণ ছিল ভিন্ন। পাকিস্তান দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের কারণে খেলোয়াড়রা উপলব্ধ ছিলেন না। এছাড়া, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্বল পারফরম্যান্স এবং গত বছর শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহের শেষ মুহূর্তে খেলা থেকে সরে দাঁড়ানোও এর জন্য দায়ী ছিল।
সম্প্রতি সোমবার মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম দ্য হান্ড্রেডের ২০২৫ মৌসুমে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তারা যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার বেন ডওয়ারশুইস (পুরো মৌসুম) এবং নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনারের (৭ ও ১০ আগস্টের দুটি ম্যাচ) স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দলে যোগ দিয়েছেন, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকবেন।
নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের মালিকানা আগামী ১ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি সান গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এই দলে আমির ও ইমাদের যোগদান ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।