কালিকট ইনিংসের ১৮ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৬ উইকেটে ১১৫। পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা হচ্ছিল ইনিংস শেষ হবে ১২৫-১৩০ রানেই। কিন্তু ১৯তম ওভারে হঠাৎ পাল্টে যায় ম্যাচের রং।
ওই ওভারে প্রথম পাঁচ বলে টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকান সালমান নিজার। বিপক্ষ বোলার ছিলেন আইপিএল খেলা পরিচিত এক মুখ। শেষ বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে পরের ওভারের স্ট্রাইকও নিশ্চিত করেন তিনি।
২০তম ওভারে আসল বিস্ফোরণ। বোলার ছিলেন অভিজিৎ প্রবীণ। ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকান সালমান, সঙ্গে একটি ওয়াইড থেকে চার রান আসে অতিরিক্ত। অর্থাৎ, ওভারে রান ৪০!
মাত্র দুই ওভারে সালমান নিজার একাই তুলে নেন ৭১ রান। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি, যেখানে ছিল ১১টি ছক্কা। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে কালিকট সংগ্রহ করে ১৮৬ রান।
কেরালার এই ব্যাটার গত মৌসুম থেকেই নজর কেড়েছেন ক্রিকেটমহলে। রঞ্জি ট্রফিতে গতবার তিনবার ৯০’র ঘরে রান করেন, যদিও শতকের দেখা এখনও পাননি। তবে কেরালার রঞ্জি ফাইনালে উঠার পেছনে ছিল তার বড় ভূমিকা।
তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, সালমান নিজার লাল বলের চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি ভয়ংকর। তার ১২ বলে ১১ ছক্কার ইনিংস যেন তার সামর্থ্যেরই এক ঝলক দেখিয়ে দিল। ক্রিকেটবিশ্ব এখন অপেক্ষায়, কবে জাতীয় পর্যায়ে আলো ছড়াবেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার।