বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আর্জেন্টিনার মাটিতে মেসির শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ: এক যুগের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসছে আলবিসেলেস্তেরা

আর্জেন্টিনার মাটিতে লিওনেল মেসির হয়ে শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ—শুধু কথাটা উচ্চারণ করাই যেন কষ্টকর ভক্তদের কাছে। কাল ভোরে বুয়েনস আইরেসের ঐতিহাসিক মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছেন আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক। আর সেই ম্যাচ দিয়েই শেষ হতে চলেছে দেশের মাটিতে মেসির অফিসিয়াল ম্যাচ যাত্রা।

বিদায়ের প্রাক্কালে আবেগ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দলে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম TYC Sports-এর একটি ভিডিওতে ধরা পড়েছে সতীর্থদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া। মেসির দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও আস্থা অর্জনকারী দুই ফুটবলার আঞ্জেল ডি মারিয়া ও রদ্রিগো ডি পল প্রকাশ করেছেন নিজেদের অনুভব।

ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে ডি পল লিখেছেন কিছু না বলেই অনেক কিছু। অন্যদিকে ডি মারিয়া দিয়েছেন একটি কান্নার ইমোজি—যার মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে হাজারো শব্দ। যদিও ডি মারিয়া আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন, তবুও এই বিদায় তার জন্যও এক আবেগঘন মুহূর্ত।

মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা শুধু নয়, তার পুরো পরিবারও থাকবেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে—স্ত্রী আন্তোনেলা, সন্তানরা, ভাইবোন, বাবা–মা ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেসি নিজেই আগেই জানিয়েছিলেন, "এটা আমার জন্য খুব বিশেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। হয়তো এরপর কোনো প্রীতি ম্যাচ থাকতে পারে, তবে অফিসিয়াল ম্যাচ এটাই শেষ।"

ডি মারিয়া ও ডি পলের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক কেবল মাঠের নয়, তা ছড়িয়ে গেছে গভীর বন্ধুত্বে। এই ত্রয়ী জিতেছেন বিশ্বকাপ ২০২২, কোপা আমেরিকা ২০২১ ও ২০২৪, এবং ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফাইনালিসিমার শিরোপাও।

মেসির দেশের মাটিতে পরিসংখ্যানও কিংবদন্তির মতো—৪৯ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল, অ্যাসিস্ট ১৯টি। সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন বলিভিয়ার বিপক্ষে (৭টি), এরপর উরুগুয়ে (৫) ও ইকুয়েডরের (৪) বিপক্ষে।

কাল চিলির রেফারি পিয়েরো মাজ্জার শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে একটি যুগের।
তবে মেসির রেখে যাওয়া স্মৃতি, তার জাদুকরী গোল, শিরোপা আর অনন্য নেতৃত্ব বেঁচে থাকবে কোটি কোটি আর্জেন্টাইন ও বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.