ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বিসিসিআই মোট ২০,১৮৫ কোটি রুপি আয় করেছে। ২০১৯ সালে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে টাকা দেওয়ার আগে বোর্ডের কোষাগারে ছিল ৬,০৫৯ কোটি রুপি। সর্বশেষ অর্থবছরের শেষে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০,৬৮৬ কোটি রুপিতে, অর্থাৎ পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ১৪,৬২৭ কোটি রুপি।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বশেষ আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হবে। তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, বিসিসিআই নিয়মিত আয়কর পরিশোধ করছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর বাবদ ৩,১৫০ কোটি রুপি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর আগে ধারণা ছিল যে বোর্ড আয়কর দেয় না, কিন্তু সম্ভাব্য দায় মেটাতে তারা এই অর্থ আলাদা করে রেখেছে।
তবে মিডিয়া সত্ত্ব থেকে বিসিসিআইয়ের আয় কমেছে। ২০২২-২৩ সালে এই খাত থেকে আয় ছিল ২,৫২৪ কোটি রুপি, কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে তা কমে ৮১৩ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। এর কারণ ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা হ্রাস। তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে বিসিসিআই উল্লেখযোগ্য আয় করেছে।
বিদেশ সফর থেকেও আয় কমেছে। আগের বছর ৬৪২ কোটি রুপি আয় হলেও এবার তা ৩৬১ কোটি রুপিতে নেমেছে। তবে বিনিয়োগ থেকে আয় বেড়ে ৯৮৬ কোটি রুপি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫৩৩ কোটি রুপি। খরচ বাদে উদ্বৃত্ত বেড়ে ১,৬২৩ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে, যার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে আইপিএল ২০২৩ এবং আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থ।
এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ১,৯৯০ কোটি রুপি। নতুন অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দ বাড়িয়ে ২,০১৩ কোটি রুপি করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নে ১,২০০ কোটি, কল্যাণ তহবিলে ৩৫০ কোটি এবং ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে ৫০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।