রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পোলার্ডের বিধ্বংসী ১৭ বলে ফিফটি, তবু জিতলো গায়ানা

ক্যারিবীয় ক্রিকেটের পাওয়ারহিটার কাইরন পোলার্ড সম্প্রতি লিজেন্ডস লিগে শহীদ আফ্রিদি, যুবরাজ সিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো অবসরপ্রাপ্ত তারকাদের সঙ্গে খেলে এসেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ফিরে তিনি আবারও অপ্রতিরোধ্য ফর্মে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এবার তিনি ১৭ বলে ফিফটি করে বসলেন। তবে তার এই ঝোড়ো ইনিংসও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে জয় এনে দিতে পারেনি। ম্যাচে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়ার্স তিন উইকেটে জয় পায়।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ত্রিনবাগোর শুরুটা ভালো হয়নি। ৫.২ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। এরপর কেসি কার্টি ও ড্যারেন ব্রাভোর ৫৬ রানের জুটিতে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু ব্রাভো আউট হলে ৯৫ রানে চার উইকেট পড়ে। তখনই মাঠে নামেন পোলার্ড।

দলকে টানতে দুই বল দেখেই আক্রমণ শুরু করেন তিনি। অষ্টম বলে প্রথম ছক্কা হাঁকান, পরের বলেও ছক্কা মেরে ২৩ রানে পৌঁছান। ইমরান তাহিরের ওভারে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন। শেষ ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে টানা চার বলে দুটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন পোলার্ড, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা।

এটি সিপিএলের যৌথ তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক। ১৭ বলে ফিফটি করেছেন এভিন লুইস ও ডেভিড মিলারও। এর চেয়ে দ্রুত ফিফটি করেছেন শুধু আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে) ও জেপি ডুমিনি (১৫ বলে)। তবে পোলার্ডের এই ইনিংস একটি রেকর্ড গড়েছে। সিপিএল ইতিহাসে হেরে যাওয়া ম্যাচে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এখন তার এই ১৭ বলের ফিফটি।

ত্রিনবাগো শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রান তোলে। জবাবে শাই হোপের ৪১ বলে অর্ধশতক, শিমরন হেটমায়ারের ৩০ বলে ৪৯ এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ১৪ বলে ২৬ রানে গায়ানা জয় পায়। ম্যাচসেরা হন প্রিটোরিয়াস।

পোলার্ডের ইনিংসে ৯২ শতাংশ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে (৫০ রান চার-ছক্কায়)। সিপিএলে এর আগে এভিন লুইস ও আন্দ্রে রাসেলই এমন কীর্তি গড়েছিলেন। চলতি মৌসুমে পোলার্ড ৭২ গড়ে ও ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯১ রান করেছেন। ২০১৯ সালে তার সর্বোচ্চ ৩৪৯ রানের রেকর্ড ভাঙার পথে রয়েছেন তিনি।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.