টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ত্রিনবাগোর শুরুটা ভালো হয়নি। ৫.২ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। এরপর কেসি কার্টি ও ড্যারেন ব্রাভোর ৫৬ রানের জুটিতে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু ব্রাভো আউট হলে ৯৫ রানে চার উইকেট পড়ে। তখনই মাঠে নামেন পোলার্ড।
দলকে টানতে দুই বল দেখেই আক্রমণ শুরু করেন তিনি। অষ্টম বলে প্রথম ছক্কা হাঁকান, পরের বলেও ছক্কা মেরে ২৩ রানে পৌঁছান। ইমরান তাহিরের ওভারে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন। শেষ ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে টানা চার বলে দুটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন পোলার্ড, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
এটি সিপিএলের যৌথ তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক। ১৭ বলে ফিফটি করেছেন এভিন লুইস ও ডেভিড মিলারও। এর চেয়ে দ্রুত ফিফটি করেছেন শুধু আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে) ও জেপি ডুমিনি (১৫ বলে)। তবে পোলার্ডের এই ইনিংস একটি রেকর্ড গড়েছে। সিপিএল ইতিহাসে হেরে যাওয়া ম্যাচে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এখন তার এই ১৭ বলের ফিফটি।
ত্রিনবাগো শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রান তোলে। জবাবে শাই হোপের ৪১ বলে অর্ধশতক, শিমরন হেটমায়ারের ৩০ বলে ৪৯ এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ১৪ বলে ২৬ রানে গায়ানা জয় পায়। ম্যাচসেরা হন প্রিটোরিয়াস।
পোলার্ডের ইনিংসে ৯২ শতাংশ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে (৫০ রান চার-ছক্কায়)। সিপিএলে এর আগে এভিন লুইস ও আন্দ্রে রাসেলই এমন কীর্তি গড়েছিলেন। চলতি মৌসুমে পোলার্ড ৭২ গড়ে ও ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯১ রান করেছেন। ২০১৯ সালে তার সর্বোচ্চ ৩৪৯ রানের রেকর্ড ভাঙার পথে রয়েছেন তিনি।