অশ্বিন মনে করেন, বর্তমান ফরম্যাটে এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতাহীন হয়ে পড়েছে। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করে আফ্রো-এশিয়া কাপ করলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। নইলে ভারতের ‘এ’ দল খেলালেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা পাওয়া যাবে।”
ভারত সম্প্রতি ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ১৭টিতে জয় পেয়েছে এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। অশ্বিনের মতে, এ কারণে এশিয়া কাপ জয় ভারতের জন্য কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তিনি বলেন, “আফগানিস্তানের বোলারদের কথা সবাই বলে। কিন্তু ভারত যদি ১৭০+ রান তুলে, তাদের ব্যাটিং দিয়ে কে সেটা তাড়া করবে? কোনো সম্ভাবনাই নেই।”
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, অন্য কোনো দল শিরোপা জিতলে এশিয়া কাপে প্রতিযোগিতা ফিরবে। তার ভাষায়, “কেউ যদি হঠাৎ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলেই এই টুর্নামেন্টে প্রাণ ফিরবে। নইলে এটি একতরফা।”
তবে অশ্বিনের এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন বর্তমান খেলোয়াড়রা। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেছেন, “আমরা শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন দিচ্ছি। প্রতিটি দল এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছে।” অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা জানিয়েছেন, “টি-টোয়েন্টি অনিশ্চয়তার খেলা। এক-দুটি পারফরম্যান্স ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। কেউ কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছে না।”
বুধবার দুবাইয়ে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। তবে অশ্বিনের এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
