চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮ দলের অংশগ্রহণে এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্ভাব্য সময় ১০ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। শুরুর দিকের ম্যাচ আবুধাবিতে এবং শেষের দিকের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এজিএম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নাকভি বলেন, “আনুষ্ঠানিক ঘোষণা খুব দ্রুতই আসবে।”
ঢাকায় এজিএম আয়োজন নিয়েও প্রথমদিকে ছিল জটিলতা। বিসিসিআই শুরুতে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত তারা ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেয়। সভা শেষে এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বিসিবি সভাপতির প্রশংসা করে বলেন, “সভাটি সফলভাবে আয়োজন করায় আমি বিসিবি ও সভাপতি আমিনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। অসাধারণ আয়োজন ছিল।”
সভায় অংশ নেওয়া সদস্য দেশগুলোর প্রশংসাও করেন তিনি, “সব দেশই একযোগে কাজ করেছে ক্রিকেটের জন্য। কিছু প্রতিনিধি ব্যক্তিগত কারণে আসতে না পারলেও বেশিরভাগ সদস্যই সরাসরি উপস্থিত ছিলেন।”
এসিসির একটি সূত্র ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানিয়েছে, বিসিসিআই বর্তমানে তাদের কমার্শিয়াল পার্টনারদের সঙ্গে কিছু বিষয় চূড়ান্ত করছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতীয় বোর্ড এশিয়া কাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে জানা গেছে।
এজিএমে আরও জানানো হয়, ২০২৬ সালের জাপান এশিয়ান গেমসে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ১০টি পুরুষ ও ৮টি নারী দল অংশ নেবে।
এছাড়া এসিসিতে তিনটি নতুন দেশ—মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান ও ফিলিপাইন—নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তবে আলোচ্য সূচিতে থাকলেও এবার এসিসির সহ–সভাপতি নির্বাচন হয়নি বলে জানায় আয়োজকরা।
সব মিলিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসিসির এই সভা সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে মত দিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। এখন শুধু অপেক্ষা, আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণার।